মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫টি পদের সব কটিতেই বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাত দুইটার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মোকসেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে আজাদ হোসেন খান জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে জামায়াত-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা সব কটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সভাপতি পদে মোকসেদুর রহমান ২৭৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম পেয়েছেন ১৩৭ ভোট। আর জামায়াত-সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী আনোয়ার হোসাইন পেয়েছেন ১১৩ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে আজাদ হোসেন খান ১৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ১৮৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিউর রহমান ১১১ ভোট ও শামসুল আলম ৪০ ভোট পেয়েছেন।
সহসভাপতি পদে আবদুল জব্বার আলী ও সহসাধারণ সম্পাদক পদে শাহনাজ পারভীন জয়ী হয়েছেন।

এ ছাড়া অর্থসম্পাদক পদে ফারুক মোল্লা, পাঠাগার সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরিফ হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে জহিরুল ইসলাম, নিরীক্ষক দুটি পদে দেলোয়ার হোসেন ও সেলিম আলদীন জয়ী হয়েছেন। তাঁদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাপিয়া সুলতানা পেয়েছেন ২২৮ ভোট।

কার্যনির্বাহী পরিষদের পাঁচটি সদস্য পদে মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল বাসার, নাসির উদ্দিন, শাহিনুর রহমান ও মুরাদ হোসেন জয়ী হয়েছেন।

গতকাল সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। ভোটগণনা শেষে রাত দুইটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং জেলা বারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম কাইসার। তিনি জানান, নির্বাচনে ৬০৯ জন ভোটারের মধ্যে ৫৪০ জন ভোটার ভোট দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমর থ ত প র রহম ন আইনজ ব হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০টির বেশি ভিসা বাতিল, অধিকাংশই ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের: মার্কো রুবিও

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে ৩০০টির বেশি ভিসা বাতিল করেছেন এবং তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মুখোশধারী এজেন্টরা এক শিক্ষার্থীকে আটক করা নিয়ে দেশটিতে সৃষ্ট উত্তেজনাকে পাত্তা দেননি তিনি।

ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক রুবিও বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি ভিসা বাতিলের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন বাকস্বাধীনতার সুরক্ষা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

কতজনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে রুবিও বলেন, ‘এই মুহূর্তে হয়তো ৩০০টির বেশি। আমরা প্রতিদিন এটি করি।’ বাতিল করা ভিসার বেশির ভাগই শিক্ষার্থীদের।

গায়ানা সফরকালে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই উন্মাদদের পেলেই তাঁদের ভিসা কেড়ে নিই। আমি আশা করি, কোনো এক সময় আমরা তাদের কাছ থেকে মুক্তি পাব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কলেজ ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ৩০ বছর বয়সী তুর্কি স্নাতক ছাত্রী রুমেসা ওজতুর্ককে সাদা পোশাকে মুখোশধারী এজেন্টরা আটক করেছেন।

ওজতুর্ক শিক্ষার্থীদের একটি পত্রিকায় গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। এখন তাঁকে বহিষ্কারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

অভিবাসন আইনজীবী মাহসা খানবাবাই অভিযোগ করেছেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওজতুর্ককে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য লুইজিয়ানার একটি আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

আইনজীবী বলেন, ‘হোম সিকিউরিটি বিভাগের মুখোশধারী এজেন্টরা আমার মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাইফের ওপর হামলা: নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্ত শরিফুলের জামিন আবেদন
  • আইসিটির প্রসিকিউটর সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল
  • যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০টির বেশি ভিসা বাতিল, অধিকাংশই ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের: মার্কো রুবিও