পটুয়াখালীর বাউফলে ট্রলার ছিনতাই করে তরমুজ লুটের ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিক্রির জন্য তরমুজ বোঝাাই ট্রলার ছিনতাই করে ৮৬০ পিস তরমুজ লুট করা হয়েছিলো। বাউফলের নদীবেষ্টিত ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে তরমুজ চাষী মানিক বেপারী সাইফুলকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নামোল্লেখ করে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলার পর গতকাল ভোরে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে যুবদলের সক্রিয় সদস্য। তার বাবা মো.

এনায়েত হোসেন খান (৫৮) নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তাকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। 

পুলিশ, স্থানীয় চাষী ও ভুক্তভোগি কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ক্ষেত থেকে ৮৬০ পিস বড় আকারের তরমুজ কেটে ট্রলারে উঠিয়ে বরিশাল যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চাষি মো. মানিক ব্যাপারী। বেলা ১২টার দিকে সাইফুল দলবল নিয়ে ট্রলার চালক মো. আরিফকে (১৮) মারধর করে চর রায়সাহেব থেকে ট্রলারটি ছিনিয়ে নিয়ে নিমদী লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে ইটভাটার কাছে নোঙর করে রাখে। খবর পেয়ে মানিক ব্যাপারী সেখানে গিয়ে ট্রলারসহ তরমুজ ফেরত চাইলে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সাইফুল ও তার লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তরমুজ অন্য ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে যায় সাইফুল। ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ট্রলার ফেরত দেওয়া হয়। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে সাইফুল ও তার বাবা এনায়েত বাউফল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি একেএম ফারুক আহম্মেদ তালুকদারের পক্ষে রাজনীতি করেন। 

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রধান আসামি সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল তরম জ ব উফল তরম জ

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন নয়, আগের সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে

সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের প্রান্তিক প্রতিনিধিরা বলেছেন, নতুন কোনো সংবিধান নয়, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আগের সংবিধানকে সংশোধন করা যেতে পারে। তবে সেটা করতে পারবে একমাত্র নির্বাচিত সংসদ।

গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীতে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে মতামত নিতে জেলা ও মহানগর সুজন এ বৈঠক আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। জেলা, উপজেলা ও মহানগর সুজন প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন। 

সভায় অংশগ্রহণকারীদের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থার কপি দেওয়া হলে তার ওপর আলোচনা করেন। ৯০ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। প্রায় সব আলোচক বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। 

সুজনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এখন নতুন সংবিধান প্রণয়নের কথা বললে সেটা শপথ ভঙ্গের শামিল। সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় পদে থাকতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দ্বৈত নাগরিক। এমনকি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজও দ্বৈত নাগরিক। তাঁর নেতৃত্বে কমিশন বৈধ নয়।

তবে বানারীপাড়া সুজনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল বলেন, আগের দলীয় সরকারগুলোর ব্যর্থতার জন্য ইউনূস সরকারের আবির্ভাব হয়েছে। তাই তাঁর নেতৃত্বেই সংবিধান সংস্কার নিরাপদ হবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সারাদেশে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করা হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ