Samakal:
2025-02-28@10:30:13 GMT

শান্তদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

Published: 28th, February 2025 GMT

শান্তদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমকে ব্যাক করবেন। তাই ফর্মে না থাকা লিটন কুমার দাসকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি।

বিপিএলে রান করার পরও লিটনের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি। অথচ টুর্নামেন্টের এক ম্যাচ পরই ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সৌম্যর জায়গায় ওপেন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জানা গেছে, টপঅর্ডারে বাঁহাতি ব্যাটার কমাতে একজনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।

মজার ব্যাপার হলো, লিপুর নির্বাচিত ১৫ জনের স্কোয়াডে টপঅর্ডারের চারজন ব্যাটারই বাঁহাতি। প্রধান নির্বাচক ডানহাতি, বাঁহাতির সমীকরণ পছন্দ না করলেও প্রয়োজন হিসেবেই দেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই লিটনের মতো অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার না থাকায় ওপেনিং স্লটের ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করতে না পারার পেছনে এটি বড় কোনো কারণ না হলেও মনস্তাত্ত্বিক অন্তরায়। বেশি প্রভাব ফেলেছে প্রস্তুতির ঘাটতি। বিপিএল শেষ করে ৫০ ওভারের ক্রিকেট নিয়ে চর্চা করার সময় ছিল না। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাকি সাত দল ব্যস্ত ছিল আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলায়। ঢাকায় বিপিএল চলার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যুতে সিরিজ খেলেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। নিউজিল্যান্ডও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে পাকিস্তানের মাটিতে।

ভারত প্রস্তুতি সেরেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলে। আফগানিস্তান খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যস্ত ছিল বিপিএল টি২০ ক্রিকেট নিয়ে। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য কোচিং স্টাফের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল কিনা, জানা যায়নি। তবে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তুতির ঘাটতির কথা বলেছেন।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও বিষয়টি সামনে এনেছেন, ‘আমাদের তো প্রস্তুতিই ঠিকমতো হয়নি। এর পরও এত বড় টুর্নামেন্টে এ ধরনের খেলা খেললে হয় না। টেস্ট খেলুড়ে অন্য দেশগুলো যেভাবে উন্নতি করেছে, আমরা তো পারিনি। ক্রিকেটারদের টেকনিক্যাল দিকগুলো দেখলেই বোঝা যায়, কতটা পিছিয়ে।’

নাজমুল হোসেন শান্তরা ব্যাটিং ভালো করতে না পারায় বোলাররা সফল হতে পারেননি। ভারত বা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আড়াইশ রানও করতে পারেনি ব্যাটিং ইউনিট। ফলে ম্যাজিক বোলিং করা সম্ভব হয়নি তাসকিন আহমেদদের পক্ষে।

এই ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নান্নু বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা মনমানসিকতা ও টেকনিক্যালি পিছিয়ে। উন্নতিটা নিজেকে করতে হবে। এটা তো ফুটবল না যে, পাসিং করে খেলতে হবে। ক্রিকেটে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভালো হলে দল লাভবান হয়। কেউ সেঞ্চুরি করলে দলের রান বড় হয়। কেউ ৫ উইকেট নিলে দলের লাভ হয়। এই কাজগুলো ঠিকঠাক করার জন্য নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হয়। ব্যক্তিগভাবে টেকনিক্যাল দিকগুলো উন্নতি করতে না পারলে হবে না। টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব আছে অনেক। স্কিল প্রোগ্রামগুলো বাড়াতে হবে।’

যে কোনো বড় টুর্নামেন্টের আগে কোচিং স্টাফে পরিবর্তন করা হলে ফোকাস নড়ে যেতে বাধ্য। কারণ, কোচিং স্টাফ দল গোছানোরই সময় পান না। খণ্ডকালীন চাকরিতে যোগ দেওয়া ফিল সিমন্সও পরিকল্পনা দেওয়ার সময় পাননি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

শান্তদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিমকে ব্যাক করবেন। তাই ফর্মে না থাকা লিটন কুমার দাসকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি।

বিপিএলে রান করার পরও লিটনের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি। অথচ টুর্নামেন্টের এক ম্যাচ পরই ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সৌম্যর জায়গায় ওপেন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। জানা গেছে, টপঅর্ডারে বাঁহাতি ব্যাটার কমাতে একজনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।

মজার ব্যাপার হলো, লিপুর নির্বাচিত ১৫ জনের স্কোয়াডে টপঅর্ডারের চারজন ব্যাটারই বাঁহাতি। প্রধান নির্বাচক ডানহাতি, বাঁহাতির সমীকরণ পছন্দ না করলেও প্রয়োজন হিসেবেই দেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই লিটনের মতো অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার না থাকায় ওপেনিং স্লটের ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করতে না পারার পেছনে এটি বড় কোনো কারণ না হলেও মনস্তাত্ত্বিক অন্তরায়। বেশি প্রভাব ফেলেছে প্রস্তুতির ঘাটতি। বিপিএল শেষ করে ৫০ ওভারের ক্রিকেট নিয়ে চর্চা করার সময় ছিল না। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাকি সাত দল ব্যস্ত ছিল আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলায়। ঢাকায় বিপিএল চলার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যুতে সিরিজ খেলেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। নিউজিল্যান্ডও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে পাকিস্তানের মাটিতে।

ভারত প্রস্তুতি সেরেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলে। আফগানিস্তান খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যস্ত ছিল বিপিএল টি২০ ক্রিকেট নিয়ে। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য কোচিং স্টাফের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল কিনা, জানা যায়নি। তবে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তুতির ঘাটতির কথা বলেছেন।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও বিষয়টি সামনে এনেছেন, ‘আমাদের তো প্রস্তুতিই ঠিকমতো হয়নি। এর পরও এত বড় টুর্নামেন্টে এ ধরনের খেলা খেললে হয় না। টেস্ট খেলুড়ে অন্য দেশগুলো যেভাবে উন্নতি করেছে, আমরা তো পারিনি। ক্রিকেটারদের টেকনিক্যাল দিকগুলো দেখলেই বোঝা যায়, কতটা পিছিয়ে।’

নাজমুল হোসেন শান্তরা ব্যাটিং ভালো করতে না পারায় বোলাররা সফল হতে পারেননি। ভারত বা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আড়াইশ রানও করতে পারেনি ব্যাটিং ইউনিট। ফলে ম্যাজিক বোলিং করা সম্ভব হয়নি তাসকিন আহমেদদের পক্ষে।

এই ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নান্নু বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা মনমানসিকতা ও টেকনিক্যালি পিছিয়ে। উন্নতিটা নিজেকে করতে হবে। এটা তো ফুটবল না যে, পাসিং করে খেলতে হবে। ক্রিকেটে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভালো হলে দল লাভবান হয়। কেউ সেঞ্চুরি করলে দলের রান বড় হয়। কেউ ৫ উইকেট নিলে দলের লাভ হয়। এই কাজগুলো ঠিকঠাক করার জন্য নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হয়। ব্যক্তিগভাবে টেকনিক্যাল দিকগুলো উন্নতি করতে না পারলে হবে না। টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব আছে অনেক। স্কিল প্রোগ্রামগুলো বাড়াতে হবে।’

যে কোনো বড় টুর্নামেন্টের আগে কোচিং স্টাফে পরিবর্তন করা হলে ফোকাস নড়ে যেতে বাধ্য। কারণ, কোচিং স্টাফ দল গোছানোরই সময় পান না। খণ্ডকালীন চাকরিতে যোগ দেওয়া ফিল সিমন্সও পরিকল্পনা দেওয়ার সময় পাননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ