ফুটবলে গোলটাই বেশি মনে থাকে, বাকি সব খুব দ্রুত ঝাপসা হয়ে যায়। আর গোলটা যদি লিওনেল মেসি নামের কেউ করেন, সম্ভবত আগে–পরে আর কিছুই মনে থাকে না। শুধু মেসির গোল করার ফ্রেমটাই খোদাই হয়ে যায় মাথার ভেতর। কিন্তু এরপরও কেউ কেউ আসেন, মেসির পাশে এসে দাঁড়ান।

এমন কিছু করেন, যা মেসির সঙ্গে জুড়ে দেয় তাঁর নামও। এমন বিরল ঘটনার ধারা থেকেই জন্ম নিয়েছে মেসি–সুয়ারেজের অসাধারণ জুটি। কারও কারও মতে যা সর্বকালের সেরা জুটিও বটে।

সর্বশেষ ঘটনা দিয়েই শুরু করা যাক। পরশু কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে ইন্টার মায়ামি ও স্পোর্টিং কেসির খেলা চলছিল। ম্যাচের ১৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে সামনে থাকা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ক্রস করেন সুয়ারেজ। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার বলটা যখন বাড়াচ্ছেন, মেসি তখন বক্সের অনেকটা বাইরে। কিন্তু বল মাটিতে পড়ার আগে ঠিকই কাছে পৌঁছে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। প্রথমে বুক দিয়ে বলটা নামিয়ে নেন, তারপর দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে দেন দলকে।

আরও পড়ুনসাড়ে ৩ বছর পর একসঙ্গে মাঠে নামবেন মেসি–সুয়ারেজ ১৯ জানুয়ারি ২০২৪

এই গোলের জন্য সুয়ারেজের মেসিকে খুঁজে নেওয়ার ঘটনা দুজনের পারস্পরিক বোঝাপড়ার অনন্য এক দৃষ্টান্ত। সুয়ারেজ চাইলে পোস্টের মুখে থাকা অন্য সতীর্থের উদ্দেশ্যেও বলটা বাড়াতে পারতেন। সেটিই বরং সহজ ছিল।

কিন্তু মুহূর্তের ব্যবধানে সুয়ারেজের নেওয়া সিদ্ধান্ত দুজনের মধ্যে আস্থা ও নির্ভরতাকেই সামনে নিয়ে আসে। পাশাপাশি সুয়ারেজের সহায়তায় মেসির এই গোলে অনন্য এক মাইলফলকও রচিত হয়েছে। ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক সাইট অপ্টার হিসাব অনুযায়ী এটি ছিল দুজনের সম্মিলিত অবদানের ১০০তম গোল।

অনুশীলনে মেসি–সুয়ারেজ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

“গত ষোল বছর জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল কোন সরকার ছিলো না”  

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খাঁন সোহেল বলেছেন, গত পনেরো ষোল বছর তো দেশের খুব খারাপ অবস্থা ছিলো। এখানো তো আসলে কোন পিপলস গভর্মেন্ট ছিলো না। জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল কোন সরকার ছিলো না। যারা ক্ষমতায় ছিলো তাদের কাছে মানুষ বাঁচলো না মরলো সেটাতে কোন তোয়াক্কা করতো না তারা। 

মানুষ কি খেলো না খেলো, মরলো না বাঁচলো তাতে তাদের কোন খেয়াল ছিলো না। তারা তো ভালো আছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজীনগর এলাকার আলিফ জেনারেল হাসপাতাল আয়োজিত কিডনি সুরক্ষা মূলক সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একথা বলেন সোহেল। 

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোহেল আরো বলেন, বিগত সরকারের কাছে মানুষের কোন প্রয়োজন ছিলো না। তবে আশা করছি সামনে জনগণের প্রতিনিধিত্বে একটি ভালো এবং পরিচ্ছন্ন নির্বাচন হবে। জনগণ ভোট দিতে কখনো ভুল করে না। জনগণ সঠিক ভোটটি দেয়। কয়দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমি বলেছি আমাদের দেশের মানুষ কখনো ভুল ভোট দেয় না। 

এসময় ভারতকে ইঙ্গিত করে সোহেল বলেন, সেদেশে ফিল্মে আজকে যারা ধেই ধেই করে নাচছে পরের দিন তারা পার্লামেন্টে গিয়ে নাচছে। তারা যদি এদেশে এসে ইলেকশন করে তবে কেউ তাদের ভোট দিবে না। মানুষ মনে করে তোমাকে কেনো ভোট দেবো? 

তুমি সিনেমায় আছো তুমি সিনেমায় থাকো। আমাদের দেশের ফেরদৌসদের কথা বলবেন, যে তারা তো পার্লামেন্টে গেছে। এটাতো ভাই ভোট না। যাকে হাসিনা পছন্দ করেছে তাকেই পার্লামেন্টে নিয়ে গেছে। 

প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ডা. মো. ফরহাদ হাসান চৌধুরির সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থি ছিলেন,ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর ডা. মো. ফারুক আহম্মেদ, ডা. মো. এ.এফ.এম মশিউর রহমান, ডা. মো. রাশেদ আনোয়ার, ডা. মো. রেজাউল আলম।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ