শিবলিঙ্গ জড়িয়ে ধরে বিতর্কে অক্ষয়
Published: 28th, February 2025 GMT
বলিউডের ‘খিলাড়ি’খ্যাত অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ‘ও মাই গড’ সিনেমায় কৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করেন। সিনেমাটির সিক্যুয়েলে শিবের ভূমিকায় অভিনয় করেন এই তারকা। এবার একটি মিউজিক ভিডিওতে শিবলিঙ্গ জড়িয়ে ধরে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অক্ষয়।
কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে ‘মহাকাল চলো’ শিরোনামের একটি গান। এতে অক্ষয় ছাড়াও দেখা যায় বিক্রম, পলাশ সেনকে। গানটির বেশ কিছু দৃশ্য দেখে ভীষণ চটেছেন পুরোহিত সংগঠনের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, গানটি নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও গানের দৃশ্যে নিয়ে আপত্তি। গানের দৃশ্যে দেখা যায়, অক্ষয় শিবলিঙ্গ জড়িয়ে ধরে আছেন। দেবাদিদেব মহাদেবের পাশাপাশি অক্ষয়ের ওপরেও ঢালা হচ্ছে হলুদ ও মধু।
পুরোহিতদের বক্তব্য— একটি শিবলিঙ্গকে যখন পঞ্চমৃত দিয়ে অভিষেক করানো হয়, তখন মহাদেবকে এইভাবে জড়িয়ে ধরা কোনোভাবেই উচিত হয়নি অক্ষয়ের। এটি এক প্রকার হিন্দু ধর্মকে অপমান করা। তা ছাড়া বেশ কিছু দৃশ্যে দেখা যায়, মহাকালকে ভস্ম দিয়ে অভিষেক করা হচ্ছে, যা উজ্জয়নীর মহাকাল ছাড়া অন্য কোনো মন্দিরে করার নিয়ম নেই।
আরো পড়ুন:
ষোলতে বিয়ে, সতেরোতে জমজ সন্তানের মা, আঠারোতে অভিনেত্রীর বিচ্ছেদ
আমার মনে কোনো ক্ষোভ নেই: ইয়ামি গৌতম
বিষয়টি জোর চর্চা চললেও নীরব ছিলেন অক্ষয়। অবশেষে মুখ খুলেছেন এই তারকা। এ অভিনেতা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা-মা শিখিয়েছেন বাবা-মায়ের আগেও ঈশ্বর হলেন আমাদের পিতা-মাতা, আমাদের রক্ষক। কেউ যদি বাবা আমাকে আলিঙ্গন করে, তাহলে সমস্যা কোথায়?”
কেউ ভুল বুঝলে কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন অক্ষয়। তার ভাষায়— “আমি মহাদেবকে জড়িয়ে ধরে শক্তি পাই। আমার ভক্তিকে কেউ যদি ভুল বোঝে তাহলে আমার কিছু করার নেই। এতে আমার কোনো দায় নেই।”
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকার বেশি দামে ধান কেনায় বাজারে দাম বাড়তে পারে: ভূমি উপদেষ্টা
খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার কৃষকের কাছ থেকে বেশি দামে ধান কিনছে সরকার। অতীতে কেউ এই দাম দেয়নি। কৃষকরা এবার ধানের সঠিক মূল্য পেয়েছেন। এ জন্য বাজারে ধান-চালের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে সিন্ডিকেট নিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, গত আমন মৌসুমে ধান কেনায় কোনো সিন্ডিকেট কাজ করতে পারেনি। এবারও পারবে না। এমন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ধান বিক্রির টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। গুদামে ধান দিতে এসে কোনো কৃষক হয়রানির শিকার হলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন দায়িত্বে থাকবে– জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সেটা প্রধান উপদেষ্টা জানেন। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমাকে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা।
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলা থেকে সরকার ১৪ হাজার ৬৪৫ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আর সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে ১৩ হাজার ৮১৬ টন।