গুগল সার্চ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলা আরও সহজ হলো
Published: 28th, February 2025 GMT
সার্চ ফলাফল থেকে ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার প্রক্রিয়া আরও সহজ করেছে গুগল। এর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ঠিকানা, ফোন নম্বরের মতো সংবেদনশীল তথ্য শনাক্ত করতে নিজেদের ‘রেজাল্টস অ্যাবাউট ইউ’ টুলও হালনাগাদ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই হালনাগাদের ফলে ব্যবহারকারীরা সরাসরি সার্চ পেজ থেকে গুগলের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য অপসারণের অনুরোধ জানাতে পারবেন।
গুগলের তথ্যমতে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির কোনো সংবেদনশীল তথ্য অন্যদের সার্চ ফলাফলে প্রদর্শন করা হচ্ছে কি না, তা ‘রেজাল্টস অ্যাবাউট ইউ’ টুলের মাধ্যমে সহজেই নজরদারি করা যাবে। তবে এ সুবিধা পেতে হলে গুগলকে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ই–মেইল ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। পরে এসব তথ্য নিজেদের সার্চ ফলাফলে প্রদর্শন করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে বার্তা পাঠিয়ে ব্যবহারকারীদের জানানো হবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই তথ্যগুলো অপসারণের অনুরোধ করতে পারবেন। এত দিন টুলটি কেবল গুগল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
গুগলের নতুন এই টুলে ব্যক্তিগত, কপিরাইট লঙ্ঘন ও শিশু নির্যাতনের তথ্য মুছে ফেলার আবেদন করা যাবে। গুগল সার্চের ফলাফলের পাশে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করলে ‘রিমুভ দিস রেজাল্টস’ অপশনটি দেখা যাবে। এই অপশন ব্যবহার করে দ্রুত তথ্য অপসারণের অনুরোধ জানানো যাবে। ব্যবহারকারীদের দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য অন্য কোনো গুগল সেবার জন্য ব্যবহার করা হবে না।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো, স্পেন, ফ্রান্স, সুইডেন, থাইল্যান্ড, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকারী গুগল ব্যবহারকারীরা টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।
সূত্র: দ্য ভার্জ
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জ শহরজুড়ে অটো-মিশুকের দৌরাত্ম্য, ভোগান্তিতে শহরবাসী
মুন্সীগঞ্জ শহরের সড়কে শত শত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। জেলা শহর ও শহরাতলিতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জেলা শহরে প্রতিদিনই দেখা দিচ্ছে যানজট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইজিবাইকগুলো শহরের যেখানে সেখানে ইচ্ছেমতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটছে দুর্ঘটনাও।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, পৌরসভাসহ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে এ সমস্যার যথাযথ সমাধান করা সম্ভব।
একদিকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো খানাখন্দভরা এবং কয়েকটি সড়ক খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছে শহরবাসী। এর মধ্যে সরকারি নিয়ম অমান্য করে বেপরোয়াভাবে মিশুক ও অটোরিকশা চালানোর ফলে শহরবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ- ইজিবাইক ছাড়াও ভটভটি, শ্যালো ইঞ্জিন গাড়ি, নসিমন, করিমনও অবৈধভাবে প্রধান সড়কে চলছে। এসব কিছু পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটলেও রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ থাকতে দেখা গেছে।
শহরের ইদ্রাকপুর এলাকার মো. রনি বলেন, “একদিকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো খানাখন্দভরা এবং কয়েকটি সড়ক খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছে শহরবাসী।
এর মধ্যে সরকারি নিয়ম অমান্য করে বেপরোয়াভাবে লাইসেন্স বিহীন মিশুক ও অটোরিকশা চালানোর ফলে শহরবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। শহরবাসীর অভিযোগ, ইজিবাইক ছাড়াও ভটভটি, শ্যালো ইঞ্জিন গাড়ি, নসিমন, করিমনও অবৈধভাবে প্রধান সড়কে চলছে।
এসব কিছু পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটলেও রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ থাকতে দেখা গেছে। এতে মিশুক ও অটোরিকশা চালকরাও লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে কোন প্রকার নিয়ম নীতি ও ট্রাফিক আইন না মেনে বীরদর্পে শহর ও শহরতলিকে যানজটের শহরে রূপান্তরিত করেছে।
বাগমামুদালী পাড়ার খালেদা আক্তার বলেন, “এসব মিশুক ও অটোরিকশা চালাকরা রাস্তার মাঝখানে যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে সড়কের ওপরই পার্কিং পরিস্থিতি আরও ঝুঁকি ও জটিল করে তুলেছে। বিভিন্ন অটো গ্যারেজগুলোতে তৈরি করা ইজিবাইকগুলো পর্যায়ক্রমে সড়কে যুক্ত হওয়ায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এমন একাধিক কারণে যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
খালইষ্ট এলাকার মিঠু বলেন, “ব্যাটারিচালিত গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবে চলছে। অটোরিকশা, স্কুটার চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে, সরকারকে গাড়ির ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু ইজিবাইকে এর কিছুই প্রয়োজন না হওয়ার সুযোগে ইজিবাইকের চাহিদা বেড়েছে। তাই এসব গাড়ি চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নাম্বার প্লেটের আওতায় নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।”
জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, অননুমোদিত এসব ইজিবাইকের কারণে শহরে চলাচল নাভিশ্বাস হয়ে পরেছে। এদের নিয়ন্ত্রণে পৌরসভাসহ জেলাবাসীর যৌথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাছাড়া প্রশাসনের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সকলের সমন্বিত পদক্ষেপে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জের সদর ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “অটো-মিশুক ইজিবাইকের কারণে যানজট নিরসনে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়। এখন শহরের বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক ও মিশুক তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। ফলে অতিরিক্ত ইজিবাইক সড়কে যুক্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সুধী সমাজ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।”
ব্যাটারিচালিত এসব অটো ও মিশুকের কারণে ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ এখন রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসন দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মুন্সীগঞ্জবাসী।
ঢাকা/রতন/এস