ভাজাপোড়ার পরিবর্তে ইফতারে যা খেতে পারেন
Published: 28th, February 2025 GMT
ইফতার হওয়া চাই স্বাস্থ্যকর। কোনোভাবেই বাইরের তৈলাক্ত খাবার ইফতারে খাওয়া উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ইফতারে বেশি ভারী খাবার গ্রহণ করলে রাতের খাবার খাওয়ায় অনিহা তৈরি হয়। তাহলে ইফতারে কি খাওয়া উচিত? এবিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন ল্যাবএইড হসপিটালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ কামরুন আহমেদ।
কামরুন আহমেদ বলেন, ‘‘ইফতারে সাধারণত আমরা পেঁয়াজু, বেগুনি, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ছোলা, আলুর চপ ইত্যাদি খেয়ে থাকি। এগুলো না খেয়ে স্যুপ, দই-চিড়া, মুড়ি, কম মশলা দিয়ে রান্না ছোলা রাখতে পারেন মেন্যুতে। এ ছাড়া ইফতারে ফল খাওয়া উচিত। ফলের মধ্যে রাখতে পারেন, তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস ইত্যাদি। ফলের জুস, মিল্ক শেক ইত্যাদিও তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। ইফতারে শরবত রাখতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে চিনি যেন কম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেজুর ইফতারের জন্য চমৎকার একটি খাবার। ইফতারের সময় এই খাবারটি অবশ্যই রাখুন। এটি শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে।’’
ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করা জরুরি—
কামরুন আহমেদের পরামর্শ, ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি কমপক্ষে আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত এ পুরো সময়ে চা, কফি, কোল্ডড্রিংকস না খাওয়াই ভালো। এতে পানিশূন্যতা হয়।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্যে পৌঁছাতে যে কয়টি নিয়ম মানতে পারেন
রোজা রাখলে শরীরে যেসব পরিবর্তন আসে
আদা, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা, লেবু, শসা, টমেটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এসব খাবার শরীরে খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে।
ইফতারিতে পাতলা খিচুড়ি ও হালিমও খেতে পারেন। স্বাস্থ্যের জন্য এটি উপকারি। এ ছাড়া বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন গাজর, মিষ্টি আলু, বিট এবং জিংক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল, গমজাতীয় খাবার, ওটস ইত্যাদি। এগুলো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ইফতারিতে আলাদাভাবে টকদই রাখতে পারেন। এটি শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। অনেকে সালাদ, ছোলা ও মুড়ির সঙ্গে টকদই খান।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইফতারে মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। এসব খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে ইফতারিতে সাধারণ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে চায়: নুর
রাজনৈতিক ফায়দা নিতে কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, অনেকেই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামী লীগকে চায়।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণঅধিকার পরিষদের বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আগেই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। আগামী নির্বাচন আনুপাতিক হারে হতে হবে। এই দাবি নিয়ে প্রয়োজনে রাস্তায় নামা হবে। ক্ষমতায় আসার আগেই কোনো কোনো দলের উৎপাত-আধিপত্য বেড়েছে। এ সময় অন্য দলকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিহাস বা কৃতিত্ব নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে চাই না। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করেছে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ছয় মাসে সংস্কারের বাস্তবায়ন দেখছি না। পুরনো ধারায়ই চলছে দেশ। এখন জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া উচিত। গণঅধিকার পরিষদ এখনও কোনো দলের সাথে জোট করেনি বলেও জানান তিনি।
এম জি