শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এবার রমজান মাসেও দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে স্বাভাবিক থাকবে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। দেশে পেঁয়াজ ও রসুনের ফলন বৃদ্ধি এবং ভারত থেকে পর্যাপ্ত আদা আমদানি হওয়ায় বাজার দর স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজান শুরুর আগেই দাম কমতে শুরু করেছে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। ৩৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। এক মাসের ব্যবধানে আদা-রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ১০০ টাকা। ২০০ টাকা কেজি দরের আদা-রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। দাম কমে যাওয়ায় খুশি ক্রেতারা। 

হিলি বাজারে মসলা কিনতে আসা আব্দুল আজিজ বলেন, “প্রতি বছর রমজান মাস আসার আগেই বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবারের চিত্র অনেকটাই আলাদা। পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম অনেকটা স্বাভাবিক। দাম কম থাকায় আদা-রসুন ও পেঁয়াজ বেশি করে কিনেছি। কারণ রমজান মাসে ইফতারের জন্য বিভিন্ন খাবার তৈরিতে এই তিনটি পণ্যের দরকার বেশি হয়।”

আরো পড়ুন:

‘টমেটো এখন পাখিদের খাদ্য’

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান, বেড়েছে লেনদেন

রিকশাচালক আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। রমজান মাসে জিনিসপাতির দাম কম বা স্বাভাবিক থাকলে আমাদের জন্য সংসার চালাতে সুবিধা হয়।”

হিলি বাজারে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, “রমজানকে ঘিরে এই বন্দরে দিয়ে আদা আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে ২০০ টাকার আদা বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দর। দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ। ২২০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি হিসেবে। আবার ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। আশা করছি, রমজান মাসে এই তিনটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না।” 

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন রমজ ন ম স ১০০ ট ক দ ম কম

এছাড়াও পড়ুন:

বিশেষ বিসিএসে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ

বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চলতি বছর দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালসমূহ সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে
এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে নূরজাহান বেগম মন্তব্য করেন, ‘দেশে চিকিৎসকের ঘাটতি অত্যন্ত প্রকট। তবে আশা করছি, বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০টি হাসপাতাল যৌথভাবে পরিচালনার জন্য রেলপথ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আজ সমঝোতা স্মারক সই হলেও হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। বর্তমানে শুধুমাত্র রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই হাসপাতালগুলো থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ