চলচ্চিত্রটির নাম ‘আহা মাতৃভাষা’। নামটি বাংলায় হলেও এটি ম্রো ভাষার প্রথম চলচ্চিত্র। ম্রো জীবন ও সমাজ নিয়ে প্রামাণ্য এই চলচ্চিত্র আবর্তিত হয়েছে ম্রো ভাষার লেখক ও গবেষক ইয়াংঙান ম্রোকে নিয়ে। তাঁর মধ্যে দিয়েই দেখানো হয়েছে ম্রো সমাজকে।

গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝিতে বাইরের জগতে ম্রো সম্প্রদায়ের মানুষের পদচারণের শুরু। একদিকে নিজেদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ধরে রাখার সংগ্রাম, অন্যদিকে এগিয়ে যাওয়ার তাড়না। দ্বিমুখী এই সংগ্রামই চলচ্চিত্রের উপজীব্য। আর ম্রো সমাজের প্রতিনিধি হয়ে ওঠা ইয়াংঙান ম্রো রয়েছেন কেন্দ্রীয় ভূমিকায়। নিজের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করতে তিনি শুরু করেছিলেন লেখালেখি। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর হয়েও ছাড়েননি ম্রোদের প্রথাগত জীবনযাপন।

ম্রো ভাষার লেখক ও গবেষক ইয়াংঙান ম্রোকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্র।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের হেতেমখা বড় মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী।

আরো পড়ুন:

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন যারা

জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি আজ

তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ আজ বিপর্যস্ত। দুই বেলা, দুই মুঠো খাবার জোগাড় করতেই তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। এরই মধ্যে রমাজানকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় ফ্যাসিবাদের দোসররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটতে ব্যস্ত রয়েছে।”

অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে সেহরি ও ইফতার করতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খেজুরের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের ফলে খেজুরের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।”

মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহবুবুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মহানগরের নায়েব আমির আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইন ও আব্দুস সামাদ, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক এমকেএম সরোয়ার জাহান প্রিন্স, জসিম উদ্দিন সরকার, তৌহিদুর রহমান সুইট, আশরাফুল আলম ইমন, সিরাজুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহেল ও ডা. হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ