দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিডিএল) আগামী ৩ মার্চ শুরু হবে। ১২ ক্লাবের পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচের এই প্রতিযোগিতা হবে বিকেএসপির দুটি মাঠ ও মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

টুর্নামেন্টের পাঁচ রাউন্ডের সূচি চূড়ান্ত করেছে আয়োজক সিসিডিএম। আসরের প্রথম দিন মাঠে নামতে যাচ্ছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পৃথক দুই মাঠে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে যাচ্ছে।

মিরপুরে আবাহনী লিমিটেডের প্রতিপক্ষ অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে খেলবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। বিকেএসপির-৪ নম্বর মাঠে খেলবে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব।

আরো পড়ুন:

পিন্ডি জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিউই বধে নামবে বাংলাদেশ 

ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ওসি, আ.

লীগ ও বিএনপি নেতা, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

পরদিন ৪ মার্চ বিকেএসপির-৪ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিপক্ষ পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ৩ নম্বর মাঠে লড়াইয়ে নামবে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মিরপুরে খেলবে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড।

সবকটি ম্যাচ শুরু হবে সকাল ৯টায়।

লিগের ২৭টি ম্যাচ টি স্পোর্টস টিভির পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করবে। এ ছাড়া, টি স্পোর্টস ডিজিটালে ৮৩ ম্যাচ পাওয়া যাবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ক এসপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে ১৪০ কোটি মানুষের মাত্র ১০ শতাংশের ইচ্ছামতো খরচ করার সামর্থ্য আছে: প্রতিবেদনে তথ্য

ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। কিন্তু মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের কাছে নিজের ইচ্ছামতো খরচ করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে বলে ‘ব্লুম ভেঞ্চারস’ নামের একটি অর্থ সহায়তাকারী সংস্থা জানিয়েছে। অর্থাৎ বাড়তি পণ্য বা পরিষেবা কেনার ক্ষমতা ওই ১৩ বা ১৪ কোটি মানুষের কাছে রয়েছে, বাকি প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের সেই ক্ষমতা নেই।

ব্লুম ভেঞ্চারস একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থা, যারা নতুন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করে। তারা তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ভারত সম্পর্কে এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্লুম ভেঞ্চারস বলেছে, ওই শীর্ষ ১০ শতাংশই তাদের ক্রয়ক্ষমতার মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাজার ও বিক্রিকে সচল রাখছে। কিন্তু এই ১০ শতাংশ ক্রমশ বাড়ছে না, অর্থাৎ আরও বেশি মানুষের সম্পদ বাড়ছে না। বরং এই ১০ শতাংশেরই শুধু অর্থ ও সম্পদ ক্রমশ বাড়ছে, অর্থাৎ ধনী আরও ধনী হচ্ছে।

তবে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে আরও ৩০ কোটি মানুষের একটা শ্রেণি তৈরি হচ্ছে, যাদের কনজিউমার বা উপভোক্তা বলা যেতে পারে। এরা সবেমাত্র খরচ করতে শুরু করেছে। তবে হয়তো এর অন্যতম কারণ এটা নয় যে তাঁদের আয়রোজগার বেড়েছে। কিন্তু খরচ করার নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে, যা হলো ইউপিআই বা ‘ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস’, অর্থাৎ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ আদানপ্রদান করা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনী ব্যক্তিদের সম্পদ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থা তাদের বিক্রয় কৌশলে পরিবর্তন আনছে। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো ক্রমশ আরও বেশি দামি পণ্য বাজারে আনছে। কারণ, তারা বুঝতে পারছে, ভারতের ধনী আরও সম্পদশালী হচ্ছে। অর্থাৎ যাঁর একটি গাড়ি আছে, তিনি আরও গাড়ি কিনতে চাইছেন বা বিদেশি গাড়ি কিনতে চাইছেন।

ব্লুম ভেঞ্চারসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কারণে অত্যধিক দামি বাসস্থান বা প্রবল দামি ফোনের বিক্রয় ও ব্যবহার ভারতে বাড়ছে।

অন্যদিকে কম দামের পণ্যের বিক্রয় সেই হারে বাড়ছে না। অর্থাৎ যিনি সস্তার ফোন বা পণ্য কেনেন, তিনি দ্বিতীয় ফোন বা জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বাইরে বাড়তি আর কিছুই কিনতে পারছেন না।

প্রতিবেদনে উদ্ধৃত তথ্য অনুসারে, শীর্ষ ১০ শতাংশ ভারতীয় এখন জাতীয় আয়ের ৫৭ দশমিক ৭ শতাংশের অধিকারী, যা ১৯৯০ সালের ৩৪ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ বিশ্বে ভারতই প্রথম, যেখানে ১০ শতাংশের সম্পদ ৩৫ বছরে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।

জনসংখ্যার নিচের দিকের মানুষের সম্পদ ২২ দশমিক ২ থেকে কমে ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে, অর্থাৎ মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষের সম্পদ এ সময়ে কমে গিয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, ভারতের জিডিপি কনজিউমারদের খরচ করার ক্ষমতার ওপরে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ফলে আয়ের সুষম বণ্টনব্যবস্থার উন্নতি না হলে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমানভাবে শুধু উচ্চ আয়ের গোষ্ঠীর জন্য পণ্য বানাবে এবং পরিষেবা দেবে। ফলে জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রান্তিক থেকে আরও প্রান্তিক হয়ে পড়বে।

অতীতে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ভারতের ভবিষ্যতের বিপদ সম্পর্কে সচেতন করলেও এই প্রথম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় আর্থিক সংস্থা দেশে ধনী ও দরিদ্রের অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিপদ নিয়ে সচেতন করল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ