রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণেও এসেছে। 

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। রাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, রাত ২টা ৪২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুসারে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। রাকিবুল ইসলাম বলেন, রাত ৩টা ২৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

আগুন কীভাবে লাগল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। তাৎক্ষণিভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবরও জানা যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খালে পড়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় হিজড়া খালে পড়ে নিখোঁজ ছয় মাসের শিশুটির লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কাপাসগোলা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে চাক্তাই খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণকক্ষ।

নিয়ন্ত্রণকক্ষে দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিসের লিডার খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সকালে শিশুটির লাশ চাক্তাই খালে ভেসে ওঠে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে মায়ের কোলে থাকা ছয় মাস বয়সী শিশুসহ তিনজনকে নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা খালে পড়ে যায়। রিকশায় থাকা শিশুটির মা ও দাদি খাল থেকে উঠে এলেও শিশুটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
শিশুটিকে উদ্ধারে গতকাল সিটি করপোরেশন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছেন। রাত তিনটা পর্যন্ত খালের বিভিন্ন অংশে নেমে ডুবুরিরা তল্লাশি করেন। এরপর আজ সকাল সাতটায় নৌবাহিনী পুনরায় অভিযান শুরু করে।

স্থানীয় লোকজন জানান, শিশুটির নাম সেহরিশ। তার মায়ের নাম সালমা বেগম। বাবার নাম মো. শহিদ। তাঁরা নগরের আছদগঞ্জ এলাকায় থাকেন। চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকায় মো. শহিদের বোনের বাসা। সেখানেই বেড়াতে এসেছিলেন সালমা বেগম, শিশু সেহরিশ ও তার দাদি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে উঠেছিলেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়। সেটিই উল্টে পড়ে খালে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, খালটি হিজড়া খাল নামে পরিচিত। খালের বিভিন্ন অংশে আবর্জনার স্তূপ জমে আছে। আবার খালের পাশেই। চালক অটোরিকশাটি ঘোরাতে গিয়ে খালে ফেলে দেন। তাৎক্ষণিকভাবে দুই নারী উঠে এলেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। নগরে গতকাল সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে খালে পানির স্রোত ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, খালটির সঙ্গে সড়ক একেবারে লাগোয়া। এ সড়কে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলায় খালের পাশে থাকা একটি নিরাপত্তাবেষ্টনী খুলে রাখা হয়েছিল। এ কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল। নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকলে এ দুর্ঘটনা ঘটত না। অবশ্য গতকাল রাতে মেয়র শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে খালের পাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী বসানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খালে পড়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার