প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমাতে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন করার দাবি
Published: 27th, February 2025 GMT
তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর দেশে দেড় লক্ষাধিক মানুষ অকালে মারা যায়। একই সঙ্গে তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করা হলে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ও এ–সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা ব্যয়ও কমে আসবে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জিয়া উদ্যানের সামনের সড়কে ‘শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি’ শীর্ষক মিনি ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করে।
জিয়া উদ্যানের সামনের সড়ক থেকে শুরু হয়ে গণভবন–সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জিয়া উদ্যানের সামনে এসে মিনি ম্যারাথন শেষ হয়। এ আয়োজনে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আবদুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে মিনি ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
এ ছাড়া মিনি ম্যারাথনে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাসকুলার সার্জন সাকলায়েন রাসেল, হার্ট ফাউন্ডেশন তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরামর্শক নাইমুল আজম খান ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার আতাউর রহমানসহ তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ঈদের দিনে যুবককে গুলি করে হত্যা
ফতুল্লায় মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে মো. পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
এরআগে রোববার চাঁদরাতে পাভেল ও পাশের বাড়ির সকালে রায়হান বাবু ওরফে ‘কবুতর বাবুর’ মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনায় ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। নিহত পাভেল (৩৭) ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।
নিহত পাভেলের বড় ভাই মাসুম জানান, ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ভোর ৪টার ঘটনা। তখন পাভেল নামে ওই যুবক রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অভিযুক্ত রায়হান বাবু এলাকায় মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসা করতেন। পাভেল তার পূর্ব পরিচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এবং যাওয়া আসা ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কেনাবেচার টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা হবে এবং আমরা তদন্তসহ অভিযুক্ত রায়হান বাবুকে আটকের চেষ্টা করছি।