আরাকান আর্মির ধরে নিয়ে যাওয়া ২৯ জেলেকে ফেরত এনেছে বিজিবি
Published: 27th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) ধরে নিয়ে যাওয়া ২৯ জেলেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় এসব জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
ফেরত আনা জেলেদের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশি এবং ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। রোহিঙ্গারা টেকনাফ-উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছিলেন।
টানা ১১ মাস মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সরকারি জান্তা বাহিনীর সঙ্গে টানা সংঘর্ষ চলাকালে গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউন দখল করে নেন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। এরপর আরাকান আর্মি সদস্যরা নাফ নদীতে তাদের জলসীমানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে সীমান্তে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া অধিকাংশ এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে। এতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির তৎপরতা থাকায় নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এই জেলেদের আরাকান আর্মির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতে রেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময় নাফ নদী থেকে আরাকান আর্মির ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের আজ সন্ধ্যায় বিজিবির মাধ্যমে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ ফেব্রুয়ারি নাফ নদীর টেকনাফ জেটিঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে চারটি ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরকান আর্মি। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদীর মোহনা–সংলগ্ন এলাকা থেকে দুটি ট্রলারসহ চার জেলেকে এবং গত বছর ১৬ নভেম্বর নাফ নদীর উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত থেকে ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল আরাকান আর্মি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম র ন ফ নদ
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছর আগে সুইমিংপুলে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী সোয়াদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত বছরের ২২ এপ্রিল সোয়াদ হক মারা গিয়েছিলেন।
সোয়াদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর তাঁর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সোয়াদ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ৫টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সোহাদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ তদন্তপূর্বক নির্ণয় করা। সুইমিংপুলের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে তা পুনরায় চালু করা। সাঁতারসহ শরীরচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়া।
সুইমিংপুল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।
দোয়া মাহফিলে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি২৩ এপ্রিল ২০২৪