কলারোয়া উপজেলা সমিতির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
Published: 27th, February 2025 GMT
ঢাকাস্থ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা সমিতির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সমিতির পূর্ববর্তী কমিটি বাতিল ঘোষণা করে নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেদিন মো. আজগর আলী কাঞ্চনকে সমিতির আহ্বায়ক ও মো.
বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৩০ জনকে সমিতির উপদেষ্টা করা হয়েছে। উপদেষ্টারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মো. ইজ্জত উল্লাহ, মো. আব্দুল জব্বার, ড. মো. আজম-ই-সাদত, আর এম ফরহাদ, আব্দুল হাকিম, এস এম গোলাম কবীর, ডা. মো. ইউনুস আলী, ড. মো. মনিরুজ্জামান, ড. মো. মিজানুর রহমান, মো. আবুল কালাম কায়কোবাদ, কাজী লতিফুর রহমান, খান মিজানুল ইসালাম সেলিম, আসাদুজ্জামান মিলন ও কাজী আসাদ।
উপদেষ্টা পরিষদে আরও রয়েছেন, অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র গাইন, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, এ টি এম আবু আসাদ, আব্দুল আজিজ আল মামুন, মতিলাল ফকির, ডা. মো. শহিদুর রহমান, প্রকৌশলী আবু তাহের খান, শেখ রেজাউল করিম, মো. কেতাব আলী, মো. সাইফুল ইসলাম মুকুল, শামীমুজ্জামান খান বাবু, মো. আসাদুজ্জামান (আসাদ), মো. শাহিনুজ্জামান (শাহীন), মো. জিল্লুর রহমান ও অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
এ ছাড়া ১৫ ফেব্রুয়ারি গঠিত আংশিক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছিল এম আশরাফুজ্জামানকে (পলাশ)। তবে, বুধবার যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আরও দুজনকে যুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন আবুল কালাম আজাদ ও দিদারুল আলম বাবু।
১৫ ফেব্রুয়ারির আংশিক আহ্বায়ক কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নয়জনকে রাখা হয়েছিল। ২৭ ফেব্রুয়ারি আরও ৪২ জনকে যুক্ত করে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়েছে ৫১ জনকে।
সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- ফারুক আল মামুন, সেলিমুল আজম, মো. হাবিবুল্লাহ মাহমুদ মিঠু, মো. আলমগীর হোসেন বাবু, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইন্তাজ আলী, মো. শওকত আলী, মো. আব্দুর রশিদ, আব্দুল্লাহ আল বাকি, মো. মিজানুর রহমান মব্বত, শেখ সাইফুল ইসলাম, মো. আলী হোসেন, শেখ এ টি এম নুরুল আমিন সোহাগ, তাসকিনুর ইসলাম, মো. জিয়ারুল ইসলাম ও মো. কামাল হোসেন। মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো. শাজাহান হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, আরিফুজ্জামান মামুন, মো. সাইদুর রহমান, মো. আমিনুর রহমান শান্ত, নাদির হোসেন সবুজ, মো. আবু তারেক (কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে), মো. মোশারফ হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান সাইফুল, ইলিয়াস হোসেন, মো. শহিদুজ্জামান রিপন, মো. আলমগীর হোসেন, রাজু আহমেদ, মো. নেহাল উদ্দীন, মো. তুষার রহমান ও মো. আলমগীর হোসেন।
কমিটিতে আরও রয়েছেন, আক্তার রহমান, মো. রুবায়েত হোসেন, গাজী হারুন, মো. আরিফুল ইসলাম, ডা. সৌদ বিন খায়রুল আলম, এস এম সাইফুল ইসলাম শিমুল, আনিসুর রহমান মুন্না, মো. আলমগীর হোসেন, মাসুদ রায়হান পলাশ (দপ্তরের দায়িত্বে), নাজমুল হুদা, মো. আসিফ ইকবাল চয়ন, হাবিবুর রহমান, শেখ বিপ্লব হোসেন, মো. একরামুল ইসলাম, মো. মেহেদী হাসান সুমন, সজীব বিশ্বাস ও কাজল হোসেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কম ট আলমগ র হ স ন ফ ল ইসল ম র রহম ন ক কম ট সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
প্লাস্টিক বোতল দিয়ে ‘শখের বাড়ি’ নির্মাণ করেছেন আলমগীর হোসেন
আলমগীর হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রি। কাজের সুবাদে দীর্ঘদিন ছিলেন বিদেশ। বছর দেড় আগে দেশে ফিরেছেন। বেশ কয়েকমাস আগে ইউটিউবে একটি ভিডিও চোখে পড়ে তার। ওই ভিডিওতে তিনি দেখেন, ইটের পরিবর্তে কোমল পানীয়ের বোতল দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা যায়। ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেও একটি বাড়ি নির্মাণের চিন্তা করেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন ভাঙারি দোকান ঘুরে বোতল সংগ্রহ শুরু করেন। কয়েক মাসের চেষ্টায় সংগ্রহ করে ফেলেন প্রায় ২৫ হাজার খালি বোতল। খরচ হয় সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এরপর ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে হাত দেন বাড়ি নির্মাণকাজে।
আলমগীর হোসেন বলেন, বাড়িটিতে দুইটি বেড রুম, একটি করে বাথরুম ও টয়লেট আছে। শুরুতে সিমেন্টের পিলার দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এরপর প্লাস্টিকের বোতলে বালু ও মাটি ভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করা হয়। ওপরে দেওয়া হয়েছে টিনের চাল। বাড়িটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই মাস।
খরচ সম্পর্কে তিনি বলেন, সিমেন্ট, বালু, কাঠ, বোতল ও মিস্ত্রির বেতন মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। তবে শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে খরচ পড়তো প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।
শুক্রবার উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের মধ্য ভাগনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আলমগীর হোসেনের বোতলবাড়ির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাড়িটির বাইরের দেয়ালে কোমলপানীয়ের বোতলের পেছনের অংশ আর ঘরের ভেতরের অংশে বোতলের মুখের অংশ রয়েছে। এ সময় বাড়িটি দেখার জন্য কয়েকজন যুবক এখানে আসেন।
বোতলবাড়ি দেখতে আসা মাহফুজুর রহমান বলেন, বাড়িটির কথা আগেই শুনেছিলাম। আজ দেখতে এলাম। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি বাড়িটি দেখে অভিভূত হয়েছি। সব কাজ সম্পন্ন হলে আবারও আসব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিয়াকত সালমান বলেন, প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে। কিন্তু তানোরে সেই প্লাস্টিককে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে আলমগীর যে বাড়ি তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব।