প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও অধ্যয়ন) মিজ পারভীন সুলতানা রাব্বী বলেছেন, সাংবাদিকরা কারো বন্ধু নয়, শুধুমাত্র সাংবাদিকরাই সাংবাদিকের বন্ধু। কেননা সাংবাদিকরা যখন কারো বিরুদ্ধে নিউজ করে, তখন থেকেই ঐ ব্যক্তি তার শত্রু হয়ে যায়।

সে আপনার যতোই আপন কিংবা কাছের লোক হোক না কেন? কিন্তু বর্তমানে সাংবাদিকরা সাংবাদিকের বন্ধু হতে পারেনা বলে আজ সাংবাদিকদের করুন দশা। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আপনাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেনা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৩৫ জন সাংবাদিককে নিয়ে তিন দিনব্যাপী সংবাদ প্রতিবেদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে পিআইবি।

পারভীন সুলতানা রাব্বী বলেন, সাংবাদিকদের প্রশ্ন করতে জানতে হবে, কোথায়, কখন, কি প্রশ্ন করতে হবে তা জানতে হবে। বিগত ১৬ বছর সাংবাদিকরা সঠিক সাংবাদিকতার পরিবর্তে তোষামোদির সাংবাদিকতা করেছে। এর জন্যই স্বৈরশাসন আমাদের উপর ভর করে বসেছিলো। তাই সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যাদের আগ্রহ থাকে এবং মনোযোগী হয় সাংবাদিকতায় তারাই এগিয়ে যায়।

এছাড়া, প্রেসক্লাব চাইলে ভবিষ্যতে শুধুমাত্র মোবাইল সাংবাদিকতার বিষয়ে আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের নিয়ে যুগোপযোগী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় পিআইবি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া, আগামী ৬ মাসের মধ্যে আবারও প্রশিক্ষণের আয়োজন করার অনুরোধ জানান তিনি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদ, পিআইবি'র সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুনসহ পিআইবির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকবৃন্দ।

পরে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধান অতিথি প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র পরিচালক মিজ পারভীন সুলতানা রাব্বী।

এর আগে, তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.

সাইফুল আলম খান, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জামিল খান, ফ্যাক্ট চেকার রিদওয়ানুল ইসলাম, পিআইবি'র সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব দ কত ব দ কর প আইব

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ সুমাইয়ার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার দিলো মামুন মাহমুদ

মাত্র আড়াই মাসের ফুটফুটে কন্যা শিশুকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মায়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী পোশাককর্মী সুমাইয়া। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন তিনি।

এরপর থেকেই মা হারা হয়ে যায় শিশু সুবাইয়া। এখন তার পরিবার বলতে একমাত্র নানিই। তিনি এই সুবাইয়ার দেখাশোনা করছেন। মায়ের রেখে যাওয়া আড়াই মাসের সেই সুবাইয়ার বয়স এখন ১০ মাস।

আসছে ঈদুল ফিতরকে ঘিরে মানুষের মধ্যে আনন্দ-উৎসাহ থাকলেও শহীদ সুমাইয়ার পরিবারের মাঝে তার ছিটেফোঁটাও নেই। পরিবারটির মুখে হাসি ফোঁটাতে ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গত বুধবার রাতে মিজমিজির পাইনাদী নতুন মহল্লায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এসময় কান্নায় চোখ ভিজে যায় সুমাইয়ার মা আসমা বেগমের।

মেয়ের শোকে প্রতিদিন কান্নায় তার চোখ ভিজে আসে উল্লেখ করে আসমা বেগম বলেন, আমার মেয়েটি কোনোদিন চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেনি। খুবই নম্র স্বভাবের ছিল। উচ্চস্বরে কখনো আমার সঙ্গে কথা বলেনি। সেই মেয়েটি আমার চোখের সামনে চলে গেলো।

আমি মা হয়ে কিছুই করতে পারিনি। তার রেখে যাওয়া মাত্র আড়াই মাসের বাচ্চাই এখন আমার স্মৃতি। আমার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নাতনিকে আগলে রাখা দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, আড়াই মাসের সুবাইয়া এখন ১০ মাসের। সে শুধু তার মাকে খুঁজে। নাতনিটা মানুষের মুখের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই আমার নাতনির দায়িত্ব যেন নেয়।

তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে খুশির আমেজ আমাদের পরিবারে নেই। শুধু আছে কান্না। নাতনির শরীরে আমার মেয়ে সুমাইয়ার গন্ধ খুঁজে পাই।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, শহীদ সুমাইয়ার হত্যার যেমন বিচার চাই, তেমনি তার পরিবারের যে দাবি, এটাও আমরা চাই।

আড়াই মাসের শিশুকে রেখে সুমাইয়া মারা গেছেন এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানেন। তিনিই আমাদের মাধ্যমে শিশুটির জন্য ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন।

এ শিশুটি যেন নিরাপদে থাকতে পারে এবং বড় হতে পারে, বিএনপি সব সময় পাশে থাকবে। বিএনপি যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, সে ক্ষেত্রে এ শিশুর অভিভাবকত্ব রাষ্ট্র ও বিএনপি গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ টাইমস এর পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের ঈদের শুভেচ্ছা
  • তারেক রহমানের ঈদ উপহার পেলেন জুলাই গণ অভ্যুত্থান নিহত শহীদ জয়ের পরিবার
  • নারায়ণগঞ্জে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে
  • সাংবাদিক রবিনের ঈদ শুভেচ্ছা
  • ফতুল্লায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বাসদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ
  • মাসদাইরে আনোয়ার প্রধানের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
  • মাসদাইরে মহানগর বিএনপির ঈদ সামগ্রী বিতরণ
  • বন্দরে তারেক রহমানের ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
  • নারায়ণগঞ্জে ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়
  • শহীদ সুমাইয়ার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার দিলো মামুন মাহমুদ