সোনারগাঁয়ে শ্রমিক অপহরণ করে মারধর, মুক্তিপণ আদায়
Published: 27th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে একটি বেসরকারি প্রিন্টিং প্রেসের শ্রমিককে অপহরণের পর মারধর করে মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে উপজেলার কাঁচপুর বালুরমাঠ এলাকা থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই ফরহাদ আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই শ্রমিকের নাম মো.
অভিযোগে ফরহাদ আলী উল্লেখ করেন , বুধবার রাতে অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি বাসা থেকে ওই শ্রমিককে তুলে নিয়ে যায়। রাত ১০টায় একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে ফোন করে তাঁদের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে। মুক্তিপণ না দেয়া হলে ওমর ফারুককে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এদিকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ওমর ফারুক বাড়িতে ফিরে আসেন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, 'বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কেনাকাটার জন্য ঘরের বাইরে যান। এসময় অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তার গায়ে ধাক্কা দিয়ে ওই ব্যক্তির হাতে থাকা মুঠোফোনটি মাটিতে ফেলে দেন।
পরে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন ওমর ফারুক ওই ব্যক্তির মুঠোফোন ভেঙ্গে ফেলেছে। ওমর ফারুক ওই ব্যক্তির অভিযোগ নিয়ে আপত্তি জানালে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ ছয়জন এসে তাকে অজ্ঞান করে অজ্ঞাতনামা স্থানে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। রাত দশটায় জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখেন মুখোশ পড়িহিত কয়েকজন পুরুষ ও একজন নারী সেই কক্ষে অবস্থান করছেন।
এসময় অপহরণকারীরা তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধরের পর পরিবারের কাছে ফোন করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাতে ও সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে দুই দফায় ৫১ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেয়া হলে বৃহস্পতিবার সকালে তার একটি আপত্তিকর ভিডিও ধারন করা হয়। পরে চোখ মুখ বেঁধে অজ্ঞাতনামা স্থান থেকে তাঁকে কাঁচপুরের একটি সড়কে ছেড়ে দেয়া হয়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, অপহরণের ঘটনায় একটি অভিযোগ নেয়া হয়েছে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ অপহরণ ওমর ফ র ক পর ব র য় একট
এছাড়াও পড়ুন:
এ দেশের মানুষ শাসনের বদলে শোষণ চায় না : মামুন মাহমুদ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, বিগত ১৫টি বছর আওয়ামী লীগের দ্রব্যমূল্যের দাম এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে যে ২০ টাকা কেজি চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে দিয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে তাদের এমপি মন্ত্রীরা অটল সম্পদের মালিক হয়েছে আর বিদেশে টাকা পাচার করেছে।
এভাবেই পনেরটি বছর মানুষকে জুলুম অত্যাচার ও নিষ্পেষিত করেছেন। মামলা খেয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছে কেউ জেল খেটেছে আবার কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আপনাদের এই এলাকার সন্তান শাওন প্রধান কিন্তু পুলিশের গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল এগারোটায় ফতুল্লায় কাশিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। এসময়ে অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, শুধু মামলা, হামলা, নির্যাতন দমন করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি করেছে। ১৫টি বছর মানুষের ভোট দিতে পারেনি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আপনারে কিন্তু ভোট দিতে পারেননি ভয়ে ভয়ে ছিলেন কারণ তাদের গুন্ডা পান্ডা আপনাদেরকে ভয় ভিত্তি দেখাই ছিল।
একেক জন রাজা মহারাজা হয়ে গেছিল। তাদের দমন, নিপীড়ন ও অত্যাচারে মানুষ অসহায় ছিল। এখন তো আপনারা শান্তি মতো ভাবে চলাফেরা করতে পারেন। দেশের মানুষ কিন্তু এটাই চায় তারা শান্তিতে বসবাস করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষ শাসনের বদলে শোষণ করবে এটা দেখতে চায় না। আপনারা চান না আমরা চাইনা আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চায় না।
আগামী দিনে দেশের জনগণ যাকেই পছন্দ করবে যাকেই মন যাবে তাকেই যেন ভোট দিতে পারে সে রকম ব্যবস্থা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারেক রহমান।
আমরা বিগত ১৭টি বছর তারেক রহমানের নির্দেশে আপনাদের ভোটের অধিকার রক্ষা করার জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, জীবন দিয়েছি, জেল খেটেছি। বাড়িঘর হারা হয়েছে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চাকরি-বাকরিও চলে গিয়েছিল।
আমাদের এসব কিছু তারা দখল করে বাংলাদেশকে একটি শোষণের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমরা এই সকল থেকে বেরিয়ে আসতে চাই আমরা আপনাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই জনগণের যাকে ভোট দেবে আগামীতে তারাই নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, একরামুল কবির মামুন, নাদিম হাসান মিঠুস, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।