খুলনা নগরের ভৈরব নদের পানির স্রোতে ভেসে এসেছে বস্তাবন্দী অজ্ঞাতনামা একজনের লাশ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে নগরের খানজাহান আলী থানা এলাকার গফ্ফার ফুডের বালির ঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির বয়স ৪৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভৈরব নদের জোয়ারের পানির স্রোতে বস্তাবন্দী একটি লাশ ভেসে ভেসে নওয়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। লাশের বস্তাটি খানজাহান আলী থানা এলাকার গফ্ফার ফুড বালির ঘাটের একটি বাঁশের সঙ্গে আটকে যায়। স্থানীয় লোকজন বস্তার ভেতর থেকে পায়ের গোড়ালি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

কবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি একজন পুরুষের। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে খানজাহান আলী থানা-পুলিশ ও নৌ পুলিশ কাজ করছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ের বিয়েতে গিয়ে বিতর্কে ওসি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে আওয়ামী লীগের এক নেতার মেয়ের বিয়েতে থানার ওসির উপস্থিতি ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ওসির এমন সখ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন তালুকদারের মেয়ের বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার সৈন্যারটেকের একটি কনভেনশন সেন্টারে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ। প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা হোসেনসহ কর্ণফুলীর থানার ওসি শরীফ স্টেজে ছবি তুলছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

হোসেন তালুকদার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে শুরু থেকে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। সমকাল প্রতিবেদকের হাতে আসা ছবিতে দেখা যায়, গত ৪ আগস্ট উপজেলার মইজ্জারটেকে ছাত্র-জনতাকে রুখতে কর্ণফুলী আওয়ামী লীগের বিশেষ টিমের কঠোর অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন এ নেতা।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের এ নেতা আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের বিরুদ্ধে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের বিয়েতে গিয়ে ছবি তোলা মানে অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেইমানি করা।

উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এতদিন দেশে দুঃশাসন কায়েম করে মানুষকে সীমাহীন যন্ত্রণার মধ্যে রেখেছিল। আন্দোলন চলাকালে দেশের মানুষের ওপর গুলি ছুড়েছে। ওই সংগঠনের নেতার অনুষ্ঠানে কীভাবে একজন ওসি গিয়ে ছবি তোলেন? তৎকালীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশ দানবে পরিণত হয়েছিল, সেই পিছুটান কি এখনও রয়ে গেছে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘বিএনপি নেতা নুর উদ্দীনের দাওয়াতে ওই বিয়েতে গিয়েছিলাম। এটা যে আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ের বিয়ে, তা জানতাম না। আমি কয়েক মিনিট ছিলাম। ভাতও খাইনি। ছবি তুলে চলে এসেছি।’ তবে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘একজন মানুষ কি কোনো বিয়েতে যেতে পারে না?’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার সাবেক ছাত্রদল সভাপতি নুর উদ্দীন বলেন, ‘হোসেন তালুকদার আমার আত্মীয়। আমার অনুরোধেই ওসি সেখানে গিয়েছিলেন।’ তবে খোঁজ নিয়ে বিএনপি নেতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের এ নেতার সম্পর্কের কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ আছে, ওসি মোহাম্মদ শরীফ কর্ণফুলীতে যোগদানের পর থেকে অভিযান করে ‘চুনোপুঁটি’ আটক করে কৃতিত্ব দেখালেও বড় নেতাকর্মীর সঙ্গে গোপন সম্পর্ক বজায় রাখছেন। নানা সময় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী এবং এক ইউপি সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘লেখক ছাড়া অন্য পেশার মানুষের সঙ্গ বেশি পছন্দ করি’
  • বনানীতে ট্রেনের ধাক্কায় একজন নিহত
  • বরবাদের টিজারে ধুন্ধুমার অ্যাকশন: মন কেড়েছে শাকিব ভক্তদের
  • সস্ত্রীক অস্কারজয়ী অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরে আসুন পল্লীকবির বাড়ি থেকে
  • স্যার রুমে ডেকে নিয়ে প্রভা আপুর ভিডিও দেখায়: মিষ্টি জান্নাত
  • পুতিন পাঁচ বছরের মধ্যে পশ্চিমের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করবেন
  • দুই প্ল্যাটফর্মের সমান সংখ্যক নেতা নিয়ে নতুন দলের কমিটি, আলোচিত সাবেক শিবির নেতারা থাকছেন না
  • আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ের বিয়েতে গিয়ে বিতর্কে ওসি