বনানীতে ট্রেনের ধাক্কায় একজন নিহত
Published: 27th, February 2025 GMT
রাজধানীর বনানীর সৈনিক ক্লাব রেললাইনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রেনের ধাক্কায় আবদুল হান্নান শেখ নামের একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পরে এক পথচারী রেললাইন থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবদুল হান্নান একজন সাইনবোর্ড ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বয়স ছিল ৫৩ বছর।
হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা পৌনে ২টার দিকে হান্নান শেখ রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় তিনি রেললাইনের পাশে পড়ে ছিলেন। তাঁকে এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে হাসপাতালে ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক মো.
খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন হান্নানের ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতাল থেকে তাঁর মুঠোফোন নম্বরে কল করে ভাইয়ের আহত হওয়ার খবর জানানো হয়। হাসপাতালে এসে তিনি ভাইকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
হান্নান সপরিবার গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাবনার আতাইকুলার পদ্মাবিলায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক ফারুক বলেন, মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ য়
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্রের মহড়া, কালোতালিকা, কাদা-ছোড়াছুড়ি, জনসংযোগের নামে বলিউডে যা হয়
প্রচার-প্রচারণার কাজে তারকারা কোথাও গেলে সেখানে ফটোগ্রাফার পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হয় বিনোদন বিটের সাংবাদিকদের কাছে। এসব বার্তা পাঠানো হয় ‘এ’ গ্রেডের তারকা থেকে শুরু করে উঠতি ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য। খুদে বার্তায় সময়ও উল্লেখ থাকে। শুধু তা-ই নয়, কোনো অভিনয়শিল্পী কিংবা নির্মাতা যখন বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, তাঁদের সেই বিষয়গুলো সামনে না আনার জন্যও বার্তা পাঠানো হয়।
কারা এসব কাজ করেন? একজন নিয়োগ পাওয়া পাবলিক রিলেশন অফিসার বা জনসংযোগ কর্মকর্তা। তারকাদের ফুটফরমাশের দিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি তাঁদের মতিগতি বুঝে বিভিন্ন ইচ্ছা পূরণ করে চলাই জনসংযোগ কর্মকর্তার কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যেসব সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে, তাঁদের সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে বলিউডে জনসংযোগের বিষয়টি গুটিকয় ব্যক্তির হাতে আবদ্ধ। তাঁরা তারকাদের নেতিবাচক দিকগুলোর পরিবর্তে ইতিবাচক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার জন্য চাপ সৃষ্টি করে থাকেন। আবার কোনো তারকার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় কেউ যেন বিতর্ক উসকে দেওয়ার মতো কোনো প্রশ্ন না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। যদি কোনো সাংবাদিক এমনটা করে থাকেন, তাহলে তাঁর জন্য বিপজ্জনক সব পরিস্থিতি অপেক্ষা করে।
একজন চলচ্চিত্র সমালোচক জানান, ভারতের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর একটিতে প্রচারিত একটি সিরিজের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সমালোচনার শেষের কয়েকটি লাইন প্ল্যাটফর্মটির পছন্দ হয়নি। তাই তা পরিবর্তন করতে বলা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। কিন্তু তিনি তা করেননি। পরিণতি হিসেবে জনসংযোগের কুৎসিত চেহারার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।
‘জুয়েল থিফ’ সিনেমার প্রচারে তারকারা। এএফপি