আসন্ন রমজানে সড়কে যানজট কমাতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি ও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় মাঠে থাকবে বাংলাদেশ স্কাউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে নগরভবনে ডিএনসিসি প্রশাসকের কার্যালয়ে রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ ও বাংলাদেশ স্কাউটের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত।

বৈঠকে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যানজট কমাতে শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে ঢাকা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করেছে। রমজানে জনদুর্ভোগ যেন না হয় সেজন্য আমরা আবারও শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রত্যাশা করছি। ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনায় বাংলাদেশ স্কাউট, বিএনসিসি ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও যানজট কমাতে মাঠে থাকবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো.

সরওয়ার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যাডমিন, প্ল্যানিং অ্যান্ড রিসার্চ) মোহাম্মদ এনামুল হক, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) সুফিয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ স্কাউটের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম ও নির্বাহী প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল) নাঈম রায়হান খান।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গণহত্যাকারীদের বিচার হতেই হবে: জামায়াতের আমির

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার (৩১ মার্চ) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত শেষ করে এ মন্তব্য করেন তিনি। বায়তুল মোকাররম অনুষ্ঠিত ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নেন তিনি। 

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হতেই হবে। তাহলে এই শহীদদের পরিবার কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাবে।”

আগামীর বাংলাদেশের প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা আগামীতে এমন একটি বাংলাদেশ প্রত্যাশা করি যেখানে রক্তের হোলি খেলা হবে না। যেখানে মানুষের জীবনকে তুচ্ছ হিসেবে গণ্য করা হবে না। যেখানে মানুষ ভালোবাসা সম্মান মর্যাদা এবং সমতার ভিত্তিতে বসবাস করতে পারবে। এখানে ধর্ম বিবেচনায় মানুষকে প্রমাণ করা হবে না এবং তার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে না।” 

তিনি বলেন, “একজন নাগরিক হিসেবে সবাই যেন সমান অধিকার ভোগ করবে। আর এসব শুধু আল্লাহর কোরআনের আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব। আমরা এই সমাজের জন্য লড়াই করছি। আমরা ক্ষুধা মুক্ত একটি সমাজ চাই।” 

জামায়াত আমির বলেন, “আমরা চাঁদাবাজ-দখলবাজ মুক্ত সমাজ গড়তে চাই। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নাই। এই কথাটি যদি আমার নিজের বিপক্ষে যায় তাও আমাকে বলতেই হবে। সত্য কথা বলা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো উপায় নাই। এই দেশে আর দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি আমরা হতে দিতে চাই না। কারণ মানুষ আর ফ্যাসিবাদের কবলে পড়তে চায় না।'

এর আগে তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ