হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: খালাস পেলেন বিএনপি নেতা হাবিব
Published: 27th, February 2025 GMT
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে খালাসের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাবিবুল ইসলাম হাবিবের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ মামলার অন্য আসামিদের রিভিশন আবেদনের শুনানি না হওয়ায় তাদের বিষয়ে হাইকোর্ট কোনো রায় দেননি বলে জানান হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী মো.
রায়ের পর হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, ‘‘ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসররা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটনার ১২ বছর পর আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছিল। অথচ আমি ওই সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি ঢাকাতে ছিলাম। এ মামলায় আমি দীর্ঘ ৪ বছর কারান্তরীণ ছিলাম। এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আমি কারাগার থেকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে এসেছি।’’
আরো পড়ুন:
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন যারা
বিএনপির বর্ধিত সভায় ঐক্যের ডাক, ভোটের জোর প্রস্তুতিতে চোখ
হাবিব বলেন, ‘‘মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে আজ আমি মুক্ত। অথচ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা এবং জেল, জুলুম ও নির্যাতন করার পরও লাখ লাখ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে না পেরে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’’
এদিকে, হাবিবুল ইসলাম হাবিব খালাস পাওয়ায় তার নির্বাচনী এলাকা সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
কলারোয়ায় ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার দীর্ঘ ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতাকর্মীকে সর্বনিম্ন চার থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির।
এ মামলায় হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। রিভিশন শুনানি শেষে আজ তাকে এ মামলা থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। তবে এই মামলার অন্য আসামিদের রিভিশন আবেদনের শুনানি না হওয়ায় তাদের বিষয়ে হাইকোর্ট কোনো রায় দেননি।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ হ ব ব ল ইসল ম হ ব ব র কল র য় ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রুল হাইকোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। এর আগে তিনি গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর আবেদন করেন। যথাযথ সাড়া না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিবেদনেও প্রকাশ পেয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে।
রিটকারী আবেদনকারীর মতে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী ব্যতীত অন্য সকল প্রবেশকারীর জন্য আইডি কার্ড প্রদর্শন, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ এবং যাচাই করা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। আবেদনকারী আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, অতীতে দেশের বিভিন্ন আদালতের প্রাঙ্গণে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অভিনব কৌশলে নাশকতার ঝুঁকি রয়েছে। তাই, আইনজীবী ও সহকারীদের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে প্রমাণপত্র যাচাই সাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।