তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষের বিদায়ী সংবর্ধনা
Published: 27th, February 2025 GMT
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মন্ডলকে অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
এ সময় অধ্যাপক শিপ্রা রানী মন্ডল বলেন, “আমি গত ৫ মাস ১৮ দিন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১১ সালের মার্চ মাসে আমি সরকারি তিতুমীর কলেজে যোগদান করি। অনেক বড় একটা পরিবর্তনের পর আমার দায়িত্ব গ্রহণ হয়েছিল। তখন থেকেই আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, আমার কলেজের শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালনা করব।”
তিনি বলেন, “৩২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে ছোট-বড় সব কাজই আমি গুরুত্ব সহকারে দেখেছি। আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম এবং শেষ দিন পর্যন্ত আছি। সুযোগ পেলে বাকি জীবনটুকুও শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যেতে চাই। আমার সমস্ত শ্রম, মেধা ও আত্মত্যাগ শিক্ষার্থীদের জন্য উৎসর্গিত।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি আরো বলেন, “দেশকে ও নিজের আওতাধীন কাজকে ভালোবাসতে হবে। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সে কাজের সুফল নিশ্চয় আসবে। তোমরা অনেক বড় হও, সফল হও, আগামীর নেতৃত্বে আসো।”
অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষকে বিদায়ী স্মারক তুলে দেন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ ।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও কলেজে কর্মরত সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা।
গত বছর আগস্টে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিপ্রা রানী মন্ডল। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ত ম র কল জ
এছাড়াও পড়ুন:
আমি কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি: বাঁধন
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি রাজপথেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এরপর কয়েক মাস নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিলেন। তবে আবারও সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন তিনি। অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে বাঁধন জানান, কারও প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই তার। যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকেন তিনি।
আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি এখানে কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়ম-আমি কী করব, কীভাবে বাঁচব, আর কী হব, তা একমাত্র আমিই ঠিক করি। আমার পথ আমি নিজেই বেছে নিই, আমার সিদ্ধান্ত আমার নিজের।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কারও অনুমতি, প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই আমার। আমি শুনি যখন চাই, করি যখন মন চায়, আর যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।’
এর আগে সোমবার ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বাঁধন লেখেন, ‘ইরেশ যাকের সবসময় সত্যের পক্ষে ছিলেন। সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আমাদের পাশে ছিলেন, ছাত্রদের পাশে ছিলেন। ৪ আগস্ট কারফিউ ঘোষণার সময় আমরা একসঙ্গে শাহবাগে ছিলাম। সেই রাতে গণভবন যাওয়ার চাপ ছিল তীব্র। কিন্তু ইরেশ যাকের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি চাপের মুখে না গিয়ে সত্যের সঙ্গে দাঁড়ানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ তাকে হেনস্তা হতে দেখা হৃদয়বিদারক।’