সাগর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২৯ জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাদের নিয়ে পৌরসভাস্থল টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে পৌঁছান বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১৪ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। তারা টেকনাফ-উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। পরে জেলেদের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।

টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে নাফ নদে মাছ ধরার সময় জেলেরা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমার ঢুকে পড়েন। এ সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মি অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন সময় নৌকাসহ ২৯ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে আমরা তাদের (আরকান আর্মি) সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলেদের ফেরত আনা হয়েছে।

ফেরত আসা জেলে আমান উল্লাহ জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মাছ ধরে নৌকা নিয়ে ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া ও বাংলাদেশ সীমানা থেকে আমাদের ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। সেখানে মারধর না করলেও আমাদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয়নি। 

নৌকার মালিক বদিউর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার সাগর থেকে মাছ শিকার করে নাফ নদী দিয়ে ফেরার সময় নৌকাসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। অবশেষে বিজিবির প্রচেষ্টায় এক সপ্তাহ পর তাদের ফেরত আনা হয়েছে। তারা নৌকা ও জালগুলো ফেরত দেয়নি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‌‌‌বিজিবির প্রচেষ্টায় ২৯ জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে। জেলেরা গত ১১ ও ২০ ফেব্রুয়ারি মাছ শিকারে গেলে ভুলবশত সীমান্ত অতিক্রম করে। এ সময় ছয়টি ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ ২৯ ধরে নিয়ে গিয়েছিল আরাকান আর্মি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভিনির বিরুদ্ধে ফিফার তদন্ত, দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা 

ব্রাজিলের এক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। অভিযোগের সত্যতা মিললে দুই বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন তরুণ ফুটবলার ভিনি।

সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ভিনিসিয়াসের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একাধিক পেশাদার ক্লাবের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি নাকি ব্রাজিল ও পর্তুগালের ক্লাবের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত আছেন। পেশাদার ফুটবলার একাধিক ক্লাবের মালিকানা নিলে তা স্বার্থ দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে। সেক্ষেত্রে বড় সাজা দেওয়ার এখতিয়ার রাখে ফিফা।

বিষয়টির বিস্তারিত জানিয়ে সংবাদ মাধ্যম উল্লেখ করেছে, ব্রাজিলিয়ান প্রতিষ্ঠান ‘টাইবেরিস হোল্ডিং দো ব্রাজিল’ গত ৭ এপ্রিল ফিফার ফুটবল বিষয়ক নৈতিক কমিটির কাছে ভিনিসিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- ভিনিসিয়াস ব্রাজিলের ‘অ্যাথলেটিক ক্লাব দে সাও জোয়াও দেল রেই’ এবং পর্তুগালের ‘আলভের্কা’ ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- ভিনিসিয়াস তার বাবার প্রতিষ্ঠান ‘অল এজেন্সিয়ামেন্টো স্পোর্তিভো’র মাধ্যমে ক্লাবগুলো পরিচালনা করেন বা অর্থায়ন করেন। অর্থাৎ ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নাও থাকতে পারেন তিনি। তবে ফিফার নিয়মে বলা আছে- সরাসরি বা পরোক্ষভাবে একাধিক ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না কোন পেশাদার ফুটবলার।

বিষয়টি নিয়ে ফিফার বিধির ২০ ও ২২ নম্বর ধারায় বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে। ওই দুই ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্বার্থ দ্বন্দ্বের এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভিনি সাজা পেতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে। মার্কা দাবি করেছে, ফিফা এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

ভিনির বিরুদ্ধে স্বার্থ দ্বন্দ্বের খবর দেওয়ার সঙ্গে স্প্যানিশ আউটলেট মার্কা আরও একটি খবর দিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়ে গেছে ভিনির। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি ছিল তার। ওই চুক্তি বাড়িয়ে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে। এতে করে আপাতত ভিনির প্রতি সৌদি ক্লাবের আগ্রহের খবরটি চাপা পড়ছে। তিনি ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ