আইসিসির সবশেষ ইভেন্টে সেমিফাইনাল খেলেছিল আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টির সুপার এইটের ম্যাচে তারা হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। পরে বাংলাদেশকে হারিয়ে সহজেই খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। 

আগামীকাল তাদের আরেকটি লড়াই সেমিফাইনালে যাওয়ার। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি হবে দুই দল। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেরা চারের আশা বাঁচিয়ে রাখা আফগানিস্তানের পরবর্তী টার্গেট অস্ট্রেলিয়া। সঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচেরও বদলার অপেক্ষা। যে ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল ডাবল সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে আফগানদের হৃদয় ভেঙেছিল। তবে ওই ম্যাচ নিয়ে আফগানিস্তান খুব একটা চিন্তিত নয়। 

অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহীদির সব ভাবনা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাশমতউল্লাহ বলেছেন, ‘‘নিশ্চিতভাবে এমন একটি জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে যা শক্তি ও সামর্থ্যকে আরো বাড়িয়ে দেয়। আমাদের জয়ের তাড়না আরো বেড়ে গেছে। আগামীকালের ম্যাচটা দুই দলের জন্য সমান গুরুত্বের। সেমিফাইনাল যাওয়ার জন্য।’’ 

আরো পড়ুন:

‘শান্তর জায়গায় ধোনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেও লাভ হবে না’ 

সাবেকরা বলছেন, বাটলারকে আর দরকার নেই!

অস্ট্রেলিয়াকে সমীহ করে তাদের বিপক্ষে ভালো করার প্রত্যয় হাশমতউল্লার কণ্ঠে, ‘‘অস্ট্রেলিয়া কঠিন এবং ভালো দল। আমি আগেও বলেছি, আমরা এখানে ভালোমানের ক্রিকেট খেলতে এসেছি। আমরা যাদের সঙ্গে খেলবো সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত। আমাদের সেমিফাইনাল খেলতে হবে এমন চাপ নিয়ে আমরা মাঠে নামতে চাই না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা যে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেট খেলেছি, আশা করছি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সেই ধারাবাহিকতা থাকবে। আমাদের নিজের বেসিক ক্রিকেটটায় স্থির থাকতে হবে।’’    

দুই দলের সবশেষ ওয়ানডে দেখায় অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল। সেদিন ২৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। মুম্বাইয়ের সেই ম্যাচ এখনও ক্রিকেটপ্রেমিদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।  

আগামীকালও জমজমাট একটা ম্যাচ হবে বলে বিশ্বাস করেন হাশমতউল্লাহ, ‘‘আমি মনে করি ম্যাচটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। কেননা আমরা সেমিফাইনাল নয় শুধু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলতে চাই। আমরা ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমে নিজেদের কাজটুকু করতে চাই। আমরা আগামীকাল ঘুম থেকে উঠবো। প্রতিপক্ষকে নিয়ে পরিকল্পনা করবো এবং মাঠে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করবো।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন স ম ফ ইন ল আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি যুদ্ধাপরাধী না, অথচ আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছে

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জন্মস্থানের একটা মায়া-ভালোবাসা আছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আপনাদের সামনে ২৪ বছর পর কথা বলার সুযোগ হয়েছে। কুলাউড়ার মানুষ আমাকে যেভাবে চেনে অন্য কেউ সেভাবে চেনে না।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) কুলাউড়া উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি কি যুদ্ধাপরাধী? না; অথচ আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল সাড়ে ১২ বছর। সাড়ে ১২ বছরের ছেলে যুদ্ধের সময়ে মানুষ খুন করতে পারে—এটা বিশ্বাসযোগ্য কথা? তা-ও চেষ্টা করা হয়েছে। কেউ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগও দেয়নি, সাক্ষ্যও দেয়নি। হিন্দু ভাইয়েরাও তাতে রাজি হয়নি। আমি সেই সময় জামায়াতে ইসলামীও করতাম না। আমি অন্য একটা সংগঠন করতাম। যেটা বলতে এখন লজ্জা হয়।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত জালিম সরকারের আমলে আমরা ১১ জন শীর্ষ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। ৫ শতাধিক মানুষ পঙ্গু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ হামলা-মামলার শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। আগস্টের ১ তারিখ আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় আল্লাহকে বলেছিলাম, ৪ দিন পর আল্লাহর বিচার হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। জালিমের মাথা আল্লাহ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।

জামায়াত আমির বলেন, আমি প্রত্যেক শহীদের বাড়িতে যদি যেতে পারতাম। তাদের সন্তান কোলে নিতে পারতাম। যাদের বাড়ি গিয়েছিলাম তাদের জিজ্ঞেস করেছি কেমন আছেন, তারা শুধু টপটপ করে চোখের পানি ফেলেছেন। জানতে চেয়েছিলাম—কী চান? তারা বলেছিলেন, জালিমের হাতে দেশটা যেন আর না যায়। দেশটা আপনাদের হাতে দেখতে চাই। এমন একটা দেশ দেখতে চাই যেখানে চাঁদাবাজ, ঘুষখোর ও সুদখোরদের ঠাঁই হবে না। আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে হিন্দু-মুসলিম কিংবা মেজরিটি-মাইনরিটি বলে কিছু থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, দুঃশাসন এবং জুলুমের কারণে আপনাদের মুখ দেখতে পারিনি। আজ প্রাণখুলে দেখতে চাই।

পুনর্মিলনীতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ