লাউগাছের গোড়ায় মাটি দেওয়া নিয়ে ঝগড়া, বড় ভাইয়ের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
Published: 27th, February 2025 GMT
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বড় ভাইয়ের কোদালের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আমিন উল্যাহ (৬০)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাবিলপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বেলা দুইটার দিকে সেনবাগ থানার পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ভাই মো.
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে লাউগাছের গোড়ায় মাটি কেটে দেওয়া নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে। যার একপর্যায়ে বড় ভাই মোতাবেল তাঁর হাতে থাকা কোদাল দিয়ে ছোট ভাই আমিন উল্যাহর বুকে আঘাত করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে আমিন উল্যাহর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেলা দুইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির বুকে আঘাতের দাগ দেখা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হযরত আলী প্রথম আলোকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, লাউগাছের গোড়ায় মাটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যকার ঝগড়ার সময় বড় ভাই হাতে থাকা কোদাল দিয়ে ছোট ভাইয়ের বুকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হযরত আলী জানান, ঘটনাটি সকালের দিকে ঘটলেও বেলা একটার দিকে পুলিশ জানতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করে। তিনি জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত বড় ভাই পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বড় ভ ই
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ঈদে কোনো নাশকতার শঙ্কা নেই: র্যাব
রাজশাহীতে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাব-৫ এর রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল-রাজেক।
রবিবার (৩০ মার্চ) হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, “র্যাব অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজশাহী মহানগরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রমজানজুড়ে আমাদের টহল কার্যক্রম ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে র্যাব ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টর দিয়ে সুইপিং তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশেষ টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। ঈদ উদযাপনে আগত জনসাধারণ নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে ও ছুটি শেষে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারে— সেটি নিশ্চিত করতে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপদ ও উৎসবমুখর ঈদ উদযাপনের জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মেজর আসিফ আল-রাজেক বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন, ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টর দিয়ে সুইপিং টিম তল্লাশি চালিয়েছে। রাজশাহীতে ঈদে কোনো ধরনের নাশকতার সন্দেহ নেই। ঈদের দিনও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল অব্যাহত থাকবে। রাজশাহী মহানগরীর হাইওয়েগুলো দিয়ে আন্তঃজেলা বাস চলাচল করে, সেগুলোর নিরাপত্তার জন্য বিশেষ চেকপোস্ট ও টহল টিম মোতায়েন থাকবে।’’
এসময় র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে একই সময়ে জামাত স্থানান্তরিত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।
ঢাকা/কেয়া/এস