দেশের বাজারে সোনার দাম আরও এক দফা কমেছে। এ দফায় ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪০৩ টাকা দাম কমানো হয়েছে। তাতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৭ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম কমানোর তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।

সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেয় জুয়েলার্স সমিতি। তাতে এক ভরির দাম কমে হয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা। আর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি সোনার দাম বাড়িয়ে ভরি ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকা করা হয়েছিল। দেশের বাজারে সেটিই ছিল সোনার সর্বোচ্চ দাম।

নতুন দাম অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেশের বাজারে হলমার্ক করা প্রতি ভরি (১১.

৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের সোনা ১ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১ হাজার ৭২২ টাকা।

এদিকে আজ পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৮১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৩ হাজার ৪০১ টাকায় টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সেই হিসাবে আগামীকাল থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনায় ২ হাজার ৪০৩ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ২৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ৯৭১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনায় ১ হাজার ৬৭৯ টাকা দাম কমবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র দ ম কম

এছাড়াও পড়ুন:

দীর্ঘদিন আত্মগোপনে, চাঁদরাতে বাড়িতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ছিলেন আত্মগোপনে। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসেন। গ্রামের বাড়িতে এসেই স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনির শিকার হলেন এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।

রোববার রাতে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

গণপিটুনির শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম মো. জসিম উদ্দিন জিসান (৩৬)। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কান্তার পাড়ার আহমদ নবীর ছেলে। এ ছাড়াও তিনি উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. জসিম উদ্দিন জিসান আত্মগোপনে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিপক্ষে পোস্ট দিতেন। ফলে স্থানীয়রা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। সর্বশেষ রোববার ঈদ উদযাপনের জন্য তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। তার আসার খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। 

বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

আরও জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে উপজেলার কেরানিহাট চত্বরে মিছিল করেছিল ছাত্র-জনতা। সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া গ্রামের গুরা মিয়া বাড়ির মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. তসলিম বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় জিসান ৫৮ নম্বর এজহারভুক্ত আসামি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, ৫ আগষ্টের পর থেকে জিসান ঘরে ছিল না। চাঁদ রাতে পরিবারের সদস্যদের জামা-কাপড় দিতে গেলে এলাকার লোকজন তাকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জেনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ বা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ