রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে রামপুরার হাজীপাড়া পেট্রোলপাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আলী হোসেন তালুকদার (৩৪)। তিনি ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।

নিহত আলী হোসেন তালুকদারের সঙ্গে মালিবাগের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আলী ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে ডিউটি শেষে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। সে সময় রমজান পরিবহনের একটি বাস তাঁর মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। পুলিশ জানায়, গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামপুরা থানার উপপরিদর্শক মো.

আবদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় রমজান পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালককে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত আলীর বড় ভাই মোশারফ তালুকদার বলেন, ‘খবর পাই, সে সড়ক দুর্ঘটনা শিকার হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’

নিহত আলী হোসেন তালুকদার পিরোজপুর সদরের কুমিরামারা গ্রামের আবদুল আজিজ তালুকদারের ছেলে। মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। মোশারফ তালুকদার জানান, তাঁর ছোট ভাই এক বছর আগে বিয়ে করেছেন। তবে এখনো তাঁর স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে আনা হয়নি। স্ত্রী গ্রামেই থাকেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজের বাবার ওপর হামলা

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের বাড়িতে হামলার শিকার হন মাহফুজের বাবা। 

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। বাচ্চু মোল্লা ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-ছাত্রদলের লোকজন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে মাহফুজের বাবা বাচ্চু মোল্লা বাধা দেয়। বাচ্চু ও মঞ্জু সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। হামলায় বাধা দেওয়ায় একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুর ওপর হামলা করে। এতে তিনি হাতে আঘাত পান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জু বলেন, “রাজনীতি করে কখনো কারো ক্ষতি করিনি। এরপরও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অসুস্থ মাকে দেখতে বিকেলে বাড়িতে যাই। খবর পেয়ে বিএনপির লোকজন বাড়িতে হামলা করে। আমি এর আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। তখন বাচ্চু কাকা হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন।”

ঘটনাটি জানতে আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিলে পরিবারের এক সদস্য কল রিসিভ করেন (মেয়ে)। তবে তিনি পরিচয় দেননি। তার ভাষ্যমতে, বাচ্চু মোল্লা এখন ভালো আছেন। বাড়িতেই রয়েছেন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, “বাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনে দুটি পক্ষ ঝামেলায় জড়ায়। তখন তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আঘাত করে। হাতে আঘাত পেলে তাকে হাসপাতাল নিয়ে চিকৎসা করানো হয়। আমিও হাসপাতাল গিয়েছি। তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। বিক্ষোভ মিছিলের সময় তিনি হাসপাতালে ছিলেন।”

ঢাকা/লিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ