শ্যামনগরে সেলুনে দাড়ি কাটাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আটক
Published: 27th, February 2025 GMT
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলার শ্যামনগর উপজেলার বিসমিল্লাহ সুপার মার্কেটের একটি সেলুন থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
সেলুনের মালিক কার্তিক জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাঈদ মেহেদী তাঁর দোকানে দাড়ি কাটাতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাঁকে (সাঈদ) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেহেদী কালীগঞ্জ উপজেলার মৌতল ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামের শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ হোসেন আটক হয়েছেন। আশরাফ ওই এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিক গাজীর ছেলে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ঈদ ম হ দ শ য মনগর উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে এক তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত জেলার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মেহেদি হাসান ওরফে সবুজ (২৪), তাঁর ভাই সাকিব হোসেন (২০) ও মো. গোলাম রসুল ওরফে রাকিব (২১)। তাঁদের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামে।
সাতক্ষীরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। পেশায় তিনি একজন মডেল ও পারলারের রূপবিশেষজ্ঞ। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামের গোলাম রসুলের পরিচয় হয়। কয়েক মাস কোনো কাজ না থাকায় তিনি বাড়িতে বেকার বসে ছিলেন। গোলাম রসুলের সঙ্গে পরিচয়ের একপর্যায়ে তিনি ভারতে কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে তাঁর কথায় ২২ মার্চ তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মেহেদি হাসান ও গোলাম রসুল তাঁকে নিয়ে মেহেদির বাড়িতে নিয়ে রাখেন।
ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, রোববার গ্রেপ্তার মেহেদির বাড়ি থেকে তাঁকে কদমতলা গ্রামের আমিনুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অচেতন করার পর একে একে কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরদিন সোমবার তাঁকে শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামে একজনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার আবার তাঁকে কয়েকজন ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে আবার মেহেদির বাড়িতে আনা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর কাছে থাকা মুঠোফোন দিয়ে ৯৯৯ নম্বর কল করলে দুপুরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
সাতক্ষীরার ওই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সোমা রানী দাস বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি অসুস্থ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল রশিদ মোল্যা বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় মামলা করেছেন। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। ওই তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।