সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলার শ্যামনগর উপজেলার বিসমিল্লাহ সুপার মার্কেটের একটি সেলুন থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

সেলুনের মালিক কার্তিক জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাঈদ মেহেদী তাঁর দোকানে দাড়ি কাটাতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাঁকে (সাঈদ) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেহেদী কালীগঞ্জ উপজেলার মৌতল ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামের শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ হোসেন আটক হয়েছেন। আশরাফ ওই এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিক গাজীর ছেলে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আত্মগোপনে থাকা সাঈদ মেহেদীকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া কাশিমাড়ী এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকেও আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঈদ ম হ দ শ য মনগর উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

গাংনীতে কবরস্থানের ফটক ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলা,

মেহেরপুরের গাংনীর চরগোয়ালগ্রামে কবরস্থানের প্রধান ফটক ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন নামে একজন গ্রাম্য চিকিৎসক  নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিহত হৃদয়ের বাবা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মিলন হোসেন নামে একজন সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বানী ইসরাইল জানিয়েছেন, আর কোন ঘটনা না ঘটে এজন্য পুলিশ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া রামনগর ও চরগোয়াল গ্রামে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ইতোমধ্যে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (নং ২৫ তাং ২৭/০২/২৫ ইং)। মামলায় মিলন নামের একজন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামনগর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল্লাহ ট্রাক্টর চালিয়ে চরগোয়ালগ্রামে যায়। অদক্ষ হওয়ার কারণে ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কবরস্থানের প্রধান ফটকের আংশিক ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ রামনগর বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

ঢাকা/ফারুক/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাংনীতে কবরস্থানের ফটক ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
  • গাংনীতে কবরস্থানের ফটক ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলা,
  • ঈদগাহের গেট ভেঙে যাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
  • হেলমেট বাহিনীর প্রধান কামু গ্রেপ্তার