Risingbd:
2025-02-27@19:42:08 GMT

নগদে নতুন প্রশাসক নিয়োগ

Published: 27th, February 2025 GMT

নগদে নতুন প্রশাসক নিয়োগ

ডাক বিভাগের ডিজিটাল সার্ভিস ‘নগদ’-এর নতুন প্রশাসক হিসেবে মো. মোতাছিম বিল্লাহকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এতে বলা হয়, নগদ-এর বর্তমান প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে এবং বিল্লাহকে প্রশাসক পদে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

এর আগে মোতাছিম বিল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক ছিলেন।

গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। পরে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো.

শাফায়েত আলম গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। প্রশাসক নিয়োগের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘নগদ’ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালত বলেছেন, আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। রিটটি গ্রহণযোগ্য নয়।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপদ পানিকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা

নিরাপদ পানিকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক বছরের মধ্যে আদালত, উপাসনালয়, হাসপাতাল, স্টেশন, হাটবাজার, এয়ারপোর্টসহ পাবলিক প্লেসে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ এবং পানযোগ্য পানি সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানি পাওয়া মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রায়ে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের মধ্যে সব পাবলিক প্লেসে বিনামূল্যে নিরাপদ পানি সরবরাহে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা বিবাদীদের (সরকার) প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে হবে। এই রায়টি একটি চলমান আদেশ হিসেবে থাকবে। এ ছাড়া হাইকোর্ট ঘোষিত তুরাগ নদ, সোনারগাঁও ও হাতিরঝিলের নির্দেশনাগুলো এই রায়ে অন্তর্ভুক্ত হবে। দেশে যত পানির উৎস রয়েছে, এগুলো যাতে ক্ষয়িষ্ণু (শুষ্ক, অনিরাপদ ও দূষিত) না হয়, সেজন্য সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানি নিশ্চিত করতে ২০২০ সালে সুয়োমটো রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। তখন নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানযোগ্য পানি সরবরাহ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব কিনা, অথবা এই নিরাপদ পানি পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে রুল জারি করা হয়। গতকাল ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে জারি করা এই মামলায় রুলের শুনানিতে আদালত কয়েকজন অ্যামিকাস কিউরি (আইনি বিষয়ে মতামত প্রদানকারী বন্ধু) নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, মানবাধিকার সংগঠন বেলার পক্ষ থেকে মিনহাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মঞ্জুর আলম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. ওবায়দুর রহমান (তারেক), সোয়েব মাহমুদ ও আবুল হাসান।
রায়ের পর ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। রায়টি বাস্তবায়িত হলে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে এবং পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাবে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ