পটুয়াখালীর সেই আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 27th, February 2025 GMT
শহীদ জিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্মাননা-২০২৪ পাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন ওরফে আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে শহরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আলাল পটুয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতা আলাল গত ৩১ জানুয়ারি নিজের ফেসবুকে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০২৪ পাওয়ার ক্রেস্ট ও সনদপত্র নিয়ে পোস্ট দেন। মুহূর্তের মধ্যে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকি এ ঘটনায় জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থ উপদেষ্টার কাছে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিকারকদের ৬ দাবি
হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে ছয়টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)। সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী এক চিঠিতে এ খাতে বিদ্যমান সমস্যা দূর করতে অর্থ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বিএফএফইএর নেতাদের একটি সভা হয়। হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে অর্থ উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বিএফএফইএর নেতাদের আরেকটি সভা হয়। সভায় হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য রপ্তানি খাতের বকেয়া নগদ সহায়তার অর্থ বিশেষ বিবেচনায় পৃথকভাবে দ্রুত ছাড় করা এবং পাট শিল্পের মতো বকেয়া ঋণ এক হিসেবে স্থানান্তরের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিএফএফইএর সভাপতির চিঠিতে দীর্ঘ দিনের বকেয়া নগদ সহায়তার অর্থ দ্রুত ছাড় করার বিষয়ে বলা হয়েছে, হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানি খাতের কাঁচামাল শতভাগ কৃষিজাত পণ্য। প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে কিনে দেশের শতাধিক হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা হচ্ছে। এটা শতভাগ মূল্য সংযোজিত পণ্য। এ খাত শতভাগ দেশীয় কাঁচামাল থেকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের খাত। সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তা এ খাতের কোনো লভ্যাংশ নয়। কাঁচামালের স্বল্পতার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে মাছের মূল্য বেশি থাকায় কারখানায় পণ্যের ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি পায়। তদুপরি বিভিন্ন সময় আওতাবহির্ভূত সমস্যার কারণে, যেমন: করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে চিংড়ি ও মাছের মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এ খাতের রপ্তানি অনুকূল অবস্থার পরিবর্তে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ খাতের নগদ সহায়তা শুধু দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের লক্ষ্যে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার সহায়ক মাত্র। প্রায় ১ বছর যাবত অডিট আপত্তির বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তাপ্রাপ্তির কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল। অর্থ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে নিষ্পত্তি হওয়ার ফলে অডিট কার্যক্রম চালু হয়েছে। বর্তমানে এ খাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে অডিটকৃত ১৩৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে, যার ফলে রপ্তানিকারকদের তারল্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রান্তিক চাষিদের চিংড়ি ও মাছের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যপণ্য রপ্তানি খাতের অডিটকৃত পাওনা অর্থ দ্রুত ছাড় করার দাবি জানানো হয়েছে।
বিএফএফইএর ছয় দাবি হলো—
১। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ হিসাবের মূল ঋণ ও সুদ পৃথক পৃথক ব্লকড হিসাবে স্থানান্তর করা।
২। ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্লকড হিসাবে স্থানান্তরের ফলে ঋণ হিসাবে সৃষ্ট কুশন অনুযায়ী ড্রইং সুবিধা অনুমোদন করা।
৩। মূল ঋণের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাব দুই বছরের সুদবিহীন মরেটরিয়াম সুবিধাসহ ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।
৪। ‘কস্ট অব ফান্ড’ বিবেচনায় মূল ঋণের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাবে ৯ শতাংশ হারে বাৎসরিক ভিত্তিতে সুদ আরোপের সুযোগ দেওয়া।
৫। সুদের জন্য সৃষ্ট ব্লকড হিসাব দুই বছরের মরেটরিয়াম সুবিধাসহ বিনা সুদে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ১০ বছরে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।
৬। ঋণ হিসাব পুনঃতফশিলের জন্য প্রচলিত ডাউন পেমেন্টের হার শিথিল করে মূল ঋণের ওপর ২ শতাংশ হারে ডাউন পেমেন্ট পরিশোধের সুযোগ দেওয়া।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক