বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় দুই দশকের বেশি সময় আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাজা হয়েছিল বিএনপির এই নেতার।

ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে করা এক আবেদনের (ক্রিমিনাল রিভিশন) শুনানি শেষে বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

আদালতে হাবিবুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.

আমিনুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহানা পারভীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ জুলফিকার আলম।

রায়ের বিষয়ে আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দণ্ডবিধিতে করা ওই মামলায় অধস্তন দুই আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাবিবুল ইসলাম জামিনে আছেন।

মামলার নথি ও আইনজীবীসূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার এক যুগ পর ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর মধ্যে দণ্ডবিধির মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এতে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ নেতা-কর্মীকে ৪ থেকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১০ বছর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা হলে দায়রা আদালতের ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল দেওয়া রায়ে ওই দণ্ড বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে রিভিশন করেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ব ব ল ইসল ম হ ব ব আইনজ ব ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশ্যে নারী আইনজীবীর গলা থেকে টান দিয়ে চেইন ছিনতাই

চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে বাসের মধ্যে প্রকাশ্যে নারী আইনজীবীর গলা থেকে টান দিয়ে স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ছিনতাইয়ের শিকার আইনজীবী সিফায়েতুন নেতা সোমা বলেন, চট্টগ্রামের টাইগার মোড় থেকে বাসে উঠে আদালত যাচ্ছিলাম। বাসটি রিয়াজ উদ্দিন বাজার এলাকায় আসলে বাসের গতি কমে যায়। সেখান থেকে সাত-আট জনের একটি গ্রুপ বাসে ওঠেন। তারা এসে আমাকে টার্গেট করেন। নিউ মার্কেট মোড়ে বাসটি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন টান দিয়ে নিয়ে সবাই দ্রুত নেমে যায়। আমি চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, আইনজীবীর চেইন ছিনতাই হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ মাঠে কাজ শুরু করেছে। ছিনতাইকারীদের ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: খালাস পেলেন বিএনপি নেতা হাবিব
  • উচ্চ আদালতে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা হাবিব, সাতক্ষীরায় আনন্দমিছিল
  • বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের পিটিশন খারিজ
  • বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের বিষয়ে রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ, রায় ১২ মার্চ
  • অধিকাংশ পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের জয়
  • আওয়ামী লীগ-সমর্থিত হারুনুর রশিদ আবার সভাপতি, সম্পাদক বিএনপির শাতিল মাহমুদ
  • জামিন পাওয়া দুই আসামিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নিয়ে গেলেন বাদী ও তাঁর লোকজন
  • প্রকাশ্যে আইনজীবী সোমার গলা থেকে টান দিয়ে চেইন ছিনতাই
  • প্রকাশ্যে নারী আইনজীবীর গলা থেকে টান দিয়ে চেইন ছিনতাই