নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, এক পক্ষে আছেন খোকা মিয়া ও ওবায়দুল নামে দুজন। অপর পক্ষে আছেন টিটু মিয়া, মোস্তফা মিয়া ও বাদল মোল্লা নামের তিনজন। আজ বেলা ১১টার দিকে খোকা মিয়ার লোকজন বড়ইতলা এলাকায় থার্মেক্স গ্রুপের একটি কারখানা থেকে ঝুট সংগ্রহ শেষে বের হচ্ছিলেন। খবর পেয়ে টিটু, মোস্তফা ও বাদল দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে তাঁদের বাধা দেন। দুই পক্ষ কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শিবপুর-থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে খোকা মিয়া ও টিটু মিয়ার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তাঁদের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, দুই পক্ষের পাঁচজন একসময় একসঙ্গে থার্মেক্স গ্রুপের সঙ্গে ঝুট ব্যবসা করতেন। স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কারণে এখন তাঁরা আলাদা হয়ে ব্যবসা করছেন। আগে তাঁরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। সম্প্রতি টিটু মিয়া একটি মামলায় কারাগার থেকে বের হয়ে মোস্তফা ও বাদলের সঙ্গে মিলে ঝুটের ব্যবসা শুরু করেন। এদিকে কয়েক মাস ধরে একচেটিয়াভাবে ঝুট ব্যবসা করে আসছিলেন খোকা মিয়া। মূলত ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য থার্মেক্স গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বশীল কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কোনো পক্ষ থেকেই লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঝ ট ব যবস স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ নেই: এনসিপি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় সময় রাজনৈতিক কারণে হামলার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মনে করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে দলটি।

এনসিপি বলেছে, অবাধ্য ও অপরাধী নেতাকর্মীদের বিএনপি বহিষ্কার করলেও হিংস্র কার্যকলাপ চলছে। এ পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও অস্থির করে তুলছে।

স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত আন্তঃসংঘর্ষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ বিবৃতি দিয়েছে এনসিপি। একইসঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে সংঘটিত বিভিন্ন হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিএনপির অন্তঃকোন্দলের জেরে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এনসিপি।

এ রকম বেশ কিছু ঘটনা তুলে ধরে বিবৃতিতে এনসিপি বলেছে, গত ৩০ মার্চ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে স্থানীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যকার সংঘর্ষে হামলার শিকার হন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলমের বাবা আজিজুর রহমান (বাচ্চু মোল্লা)। হামলায় তার হাত ভেঙে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ মার্চ নোয়াখালীর হাতিয়ায় পথসভা ও জনসংযোগের সময়ে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন সদস্য এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদের ওপর হামলা করা হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এনসিপির কর্মী-সংগঠকদের নিয়মিত হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।

বিএনপির নেতাকর্মীরা সাত-আট মাস পর ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিচ্ছেন অভিযোগ করেছে এনসিপি। এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাত-আট মাস পর স্থানীয় বিএনপির হাতে ঠিক কোন ধরনের বাস্তবতা তৈরি হবে, যার কারণে তারা দেখে নিতে পারবেন তা এনসিপির বোধগম্য নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ