নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন যারা
Published: 27th, February 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। দলের নাম রাখা হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)।
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে বড় জমায়েতের কথা জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত ৫১ দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনীতিকদের।
আরো পড়ুন:
বিএনপির বর্ধিত সভায় ঐক্যের ডাক, ভোটের জোর প্রস্তুতিতে চোখ
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে: তারেক রহমান
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে সরকারপ্রধানের হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন এনসিপির নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সাইফ মুস্তাফিজ প্রধান।
নেতারা জানিয়েছেন, নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ৩৬টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নাগরিক কমিটি। তবে পতিত আওয়ামী লীগের সরকারের শরিক ১৪ দলের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো শুরু করেছি। প্রধান উপদেষ্টা ও সব উপদেষ্টাদেরকেও আমরা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে সকল রাজনৈতিক দলকেই আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর ইচ্ছে রয়েছে।”
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’
‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে’ নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম চূড়ান্ত করেছে। ছাত্রদের দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দলটির পক্ষ থেকে নতুন নাম চূড়ান্ত করা হয়। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হবে। সেখানে দলের শীর্ষ পদে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, নতুন দলের শীর্ষ ৬ পদে থাকছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক হচ্ছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। হান্নান মাসুদ হচ্ছেন যুগ্ম সমন্বয়ক।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ জ ত য় ন গর ক প র ট সমন বয়ক উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় ঈদের নামাজের আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবিতে মিছিল
সারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজে ইমামতি করে কাজি ফজলুর রহমান। লাখো মুসল্লি এতে অংশ নেন। এছাড়াও নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তবে ঈদের নামাজ শুরুর আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবি করে কলকাতায় সংহতি মিছিলে অংশ নেন মুসল্লিরা। হাতে ব্যানার এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মিছিলটি। বিশাল মিছিল নিয়ে কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও সেই মিছিলে শামিল হয়।
ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি জানান, ‘আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারাও যেন শান্তিতে থাকতে পারেন। আমরা যেভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি, ঠিক সেভাবে তারাও যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারেন। আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসে নামাজ আদায় করছি, ঠিক তারাও যেমন এ রকম করতে পারেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে সেটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’
পরে রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঈদ পালিত হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ দেশের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুইটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায়।