চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন চলতি বছরের ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন আগামী ১৪ মার্চ থেকে শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলনে কক্ষে সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ১১টি উপ-কমিটি ও কোর-কমিটি গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে। অংগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ, রেজিস্ট্রেশন ফি ও অন্যান্য তথ্যাবলী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “এ লক্ষ্যে একটি কমিটিও করা হয়েছিল। সে কমিটির অধীনে আরো বেশকিছু উপকমিটিও করা হয়েছে। আমরা অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিস্তারিত জানিয়ে দেব।”
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকদিন ধরেই সমাবর্তন হয় না। আমরা এ বছরের ১৪ মে সমাবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ এক সভায় এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে । সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা এবং শিক্ষা উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ করা হবে।”
সর্বশেষ চবির চতুর্থ সমাবর্তন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দরিদ্র নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান
দরিদ্র নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ঋণ পেলে দারিদ্র্যকে জয় করতে পারেন শহরের প্রান্তিক নারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিএনপিএসের ঢাকা পূর্ব কেন্দ্রে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে সেমিনার
ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি
নাইট কোচে উঠতে নারীদের ভয়
বিএনপিএসের ঢাকা পূর্ব কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শেলীনা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ফাতেমা আক্তার ডলি, যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাজিয়া রহমান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মো, আব্দুর রশিদ, উন্নয়ন কর্মকর্তা অনিকেত আচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা নারীর ক্ষমতায়নের গুরুত্ব ও নারীর ক্ষমতায়নের সাথে ছোট পরিসরে হলেও নারীদের আয়মূলক কাজে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা অংশগ্রহণকারী নারীদের আয়মূলক কাজ, তার পরিসর, বৈশিষ্ট্য, পরিচালনার কৌশল, লাভ-ক্ষতি নির্ধারণ, ঝুঁকি ও তা মোকাবিলায় করণীয় এবং আয়মূলক কাজের পরিকল্পনা তৈরির পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা দেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের পরিবারের আগ্রহী যুব বয়সী নারী-পুরুষ সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সংস্থা হতে বিভিন্ন ধরনের আয়মূলক কাজ শেখার সুযোগ করে দেওয়া আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নারী সদস্যদের আয়মূলক কাজ পুণরায় শুরু করার জন্য সংস্থার পক্ষ হতে অনুদান হিসেবে দ্রব্যসামগ্রী দেওয়া হয়।
এ সময় অংশগ্রহণকারীরা সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত এই দ্রব্যসামগ্রীর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে তাদের পরিবারে কিছুটা হলেও সচ্ছলতা ফিরবে।
ঢাকা/এএএম/এসবি