কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া মৈতপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহানের বাড়িতে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। আর তা দেখে ভয়ে তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৬৭) অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত ১১টার দিকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহজাহানের ছোট ভাই আরকান মিয়া। তিনি জানান, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত বাড়িতে আগুন দেয়। তবে তারা কারা রাতের আঁধারে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার বড় ভাই বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো.

শাহজাহান এ বাড়িতেই বসবাস করতেন। আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় গত ৫ আগস্টের পর তার এ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা ও লুটপাট চালানো হয়। বড় ভাইয়ের নামে কয়েকটি মামলাও হয়। তাই তিনি বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছেন। বুধবার রাতে পুনরায় একদল লোক তার বাড়িতে আগুন দেয়। এতে ভয় পেয়ে ভাবী আকলিমা বেগম স্ট্রোক করেন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’’

আরো পড়ুন:

শেরপুরে হামলার ঘটনায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু

জনসভা স্থগিত
আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে চট্টগ্রামে শোকের ছায়া

বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, আজ সকালে আগুন ও মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাছাড়া এ বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগও করেনি। 

ঢাকা/রুমন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ঈদের দিনে যুবককে গুলি করে হত্যা

ফতুল্লায় মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে মো. পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

এরআগে রোববার  চাঁদরাতে পাভেল ও পাশের বাড়ির সকালে রায়হান বাবু ওরফে ‘কবুতর বাবুর’ মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনায় ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। নিহত পাভেল (৩৭) ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।
 
নিহত পাভেলের বড় ভাই মাসুম জানান, ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ভোর ৪টার ঘটনা। তখন পাভেল নামে ওই যুবক রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল।

পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অভিযুক্ত রায়হান বাবু এলাকায় মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসা করতেন। পাভেল তার পূর্ব পরিচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এবং যাওয়া আসা ছিল। 

ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কেনাবেচার টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা হবে এবং আমরা তদন্তসহ অভিযুক্ত রায়হান বাবুকে আটকের চেষ্টা করছি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ