ডিএনসিসিকে কারিগরি সহায়তা দেবে লন্ডনের টিএফএল
Published: 27th, February 2025 GMT
রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) কারিগরি সহায়তা দেবে লন্ডনভিত্তিক পরিবহন সংস্থা ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল)। নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট, বাস অপারেশন ও নিরাপত্তা এই তিন বিষয়ে ডিএনসিসির সঙ্গে কাজ করবে টিএফএল।
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন টিএফএলের একটি প্রতিনিধিদল।
যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট কার্যালয়ের (এফসিডিও) আর্থিক সহায়তায় ডিএনসিসিকে সহায়তা করবে টিএফএল। শুরুতে গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটি। গুলশান এলাকায় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ও বাস সার্ভিস ব্যবস্থাপনা সফল হলে পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকায় এই মডেল ব্যবহার করা হবে।
আরো পড়ুন:
ঝালকাঠিতে গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, শিক্ষক নিহত
ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি
নাইট কোচে উঠতে নারীদের ভয়
বৈঠকে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “লন্ডনের ট্রাফিক ব্যবস্থা সারা বিশ্বে রোল মডেল। ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) তাদের শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেছে যেটি বিশ্বে অত্যন্ত বিখ্যাত। গুলশান এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং জনসাধারণের নিরাপদ চলাচলে টিএফএল-এর অভিজ্ঞতা ও কারিগরি পরামর্শ কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।”
গুলশান নগর ভবনে ডিএনসিসির প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে টিএফএলের প্রতিনিধিদলে ছিলেন ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট রুথ স্যালমন, সিয়ান হুস্টন ও নিকোলা ব্র্যাডি।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা, ট্রাফিক সিগন্যাল, যানজট নিরসনে কাজ করার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও এফসিডিওর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।প্রথম ধাপে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে সংস্থা দুটি।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ড এনস স ড এনস স র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে প্রায় ৬ হাজার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
রংপুরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামায়াতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
ঈদ উপলক্ষে সিটি করপোরেশন থেকে নগরের সড়কগুলোয় জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক লেখা পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে জেলার হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোয় বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার প্রায় ছয় হাজার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদ জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডের ৭৫টিসহ জেলার ১২ শতাধিক ঈদগাহ মাঠে ও পাড়া–মহল্লার মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোয় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কালেক্টরেট ঈদগাহে জেলার প্রধান এই ঈদ জামাতে কয়েক হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। ইমামতি করেন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. বায়েজীদ হোসাইন। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্টজন এবং সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের বিশেষ খুতবা শেষে দেশের মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নামাজ শুরুর আগে উপস্থিত মুসল্লিসহ রংপুরবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানান বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল আটটায় রংপুর পুলিশ লাইন্স মসজিদ মাঠে, নয়টায় শাপলা চত্বর আশরাফিয়া জামে মসজিদে, সকাল সাড়ে আটটায় মুন্সিপাড়া ঈদগাহে, হযরত মাওলানা কেরামত আলী (রহ.) মাজারসংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে সকাল সাড়ে নয়টায়, মন্ডলপাড়া বড় ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে নয়টায়, মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল নয়টায়, বদরগঞ্জ চান্দামাড়ি কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার ঈদগাহ, মসজিদ ও মাদ্রাসার মাঠে ঈদের জামাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।