কাজের মান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নতুন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। একই সঙ্গে তিনি মন্ত্রণালয়ের চলমান কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে বলেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায়  এ আহ্বান জানান তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। যেসব ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কাজের সুযোগ রয়েছে, সেসব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে এবং মন্ত্রণালয়ের চলমান কার্যক্রম দ্রুত সমাপ্ত করতে হবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। সভার শুরুতে মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থাগুলোর পরিচিতি উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব ফারাহ শাম্মী।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে মো.

নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের এক দিন পর বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পান মাহফুজ আলম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপদ পানিকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা

নিরাপদ পানিকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক বছরের মধ্যে আদালত, উপাসনালয়, হাসপাতাল, স্টেশন, হাটবাজার, এয়ারপোর্টসহ পাবলিক প্লেসে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ এবং পানযোগ্য পানি সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানি পাওয়া মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রায়ে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের মধ্যে সব পাবলিক প্লেসে বিনামূল্যে নিরাপদ পানি সরবরাহে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা বিবাদীদের (সরকার) প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে হবে। এই রায়টি একটি চলমান আদেশ হিসেবে থাকবে। এ ছাড়া হাইকোর্ট ঘোষিত তুরাগ নদ, সোনারগাঁও ও হাতিরঝিলের নির্দেশনাগুলো এই রায়ে অন্তর্ভুক্ত হবে। দেশে যত পানির উৎস রয়েছে, এগুলো যাতে ক্ষয়িষ্ণু (শুষ্ক, অনিরাপদ ও দূষিত) না হয়, সেজন্য সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানি নিশ্চিত করতে ২০২০ সালে সুয়োমটো রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। তখন নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানযোগ্য পানি সরবরাহ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব কিনা, অথবা এই নিরাপদ পানি পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে রুল জারি করা হয়। গতকাল ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে জারি করা এই মামলায় রুলের শুনানিতে আদালত কয়েকজন অ্যামিকাস কিউরি (আইনি বিষয়ে মতামত প্রদানকারী বন্ধু) নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, মানবাধিকার সংগঠন বেলার পক্ষ থেকে মিনহাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মঞ্জুর আলম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. ওবায়দুর রহমান (তারেক), সোয়েব মাহমুদ ও আবুল হাসান।
রায়ের পর ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। রায়টি বাস্তবায়িত হলে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে এবং পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাবে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ