প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বালক গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্য দিকে বালিকা গ্রুপে শিরোপা জিতেছে জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে বালক বিভাগে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল বিদ্যালয় ২-০ গোলে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ সদরের ইছাঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

ফাইনালে বালিকা গ্রুপে রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার জোড়গাছা বিদ্যালয় ৩-১ গোলে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

বালক বিভাগে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় কৈয়ারবিল বিদ্যালয়ের মো.

নাহিদ হোসেন তোহা। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন একই বিদ্যালয়ের মো. জুবাইর। বালিকা বিভাগে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় জোড়গাছা বিদ্যালয়ের লামিয়া খাতুন। সর্বোচ্চ গোলদাতা বাঞ্ছারামপুর বিদ্যালয়ের হিয়ামনি।

চ্যাম্পিয়ন দলকে প্রাইজমানি হিসেবে ৩ লাখ, রানার্সআপকে ২ লাখ আর তৃতীয় হওয়া দল পেয়েছে ১ লাখ টাকা।

খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ফরিদ আহাম্মদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বালক-বালিকা গ্রুপে যথাক্রমে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দেয়াড়া আন্তাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

দেশের ৬৫ হাজার ৩৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালক-বালিকা দল টুর্নামেন্ট অংশ নেয়।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপদ পানিকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা

নিরাপদ পানিকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক বছরের মধ্যে আদালত, উপাসনালয়, হাসপাতাল, স্টেশন, হাটবাজার, এয়ারপোর্টসহ পাবলিক প্লেসে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ এবং পানযোগ্য পানি সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ পানি পাওয়া মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রায়ে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের মধ্যে সব পাবলিক প্লেসে বিনামূল্যে নিরাপদ পানি সরবরাহে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা বিবাদীদের (সরকার) প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে হবে। এই রায়টি একটি চলমান আদেশ হিসেবে থাকবে। এ ছাড়া হাইকোর্ট ঘোষিত তুরাগ নদ, সোনারগাঁও ও হাতিরঝিলের নির্দেশনাগুলো এই রায়ে অন্তর্ভুক্ত হবে। দেশে যত পানির উৎস রয়েছে, এগুলো যাতে ক্ষয়িষ্ণু (শুষ্ক, অনিরাপদ ও দূষিত) না হয়, সেজন্য সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ খাবার ও ব্যবহারযোগ্য পানি নিশ্চিত করতে ২০২০ সালে সুয়োমটো রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। তখন নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানযোগ্য পানি সরবরাহ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব কিনা, অথবা এই নিরাপদ পানি পাওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে রুল জারি করা হয়। গতকাল ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে জারি করা এই মামলায় রুলের শুনানিতে আদালত কয়েকজন অ্যামিকাস কিউরি (আইনি বিষয়ে মতামত প্রদানকারী বন্ধু) নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, মানবাধিকার সংগঠন বেলার পক্ষ থেকে মিনহাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মঞ্জুর আলম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. ওবায়দুর রহমান (তারেক), সোয়েব মাহমুদ ও আবুল হাসান।
রায়ের পর ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। রায়টি বাস্তবায়িত হলে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে এবং পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পাবে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ