বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছের বাসায় হামলার মামলায় আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মো. রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় নেওয়া হয়।

এর আগে দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক সজল সরকারের নেতৃত্বে লাখাই থানার পুলিশের উপপরিদর্শক প্রনয় কুমার সরকার ও এএসআই আনোয়ারুল হকসহ একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। এ অভিযানে লাখাই উপজেলার বামৈ পশ্চিমবাগ গ্রাম থেকে মো.

রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত বালিস্টির মিয়ার ছেলে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জি কে গউছের বাসার বৈঠকখানায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে এসপি এসএম মুরাদ আলি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষণ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। 

এসময় বাদী বিএনপি নেতা আউয়ালের চোখে-মুখে ও শরীরে গুলি লাগে এবং তার চোখ নষ্ট হয়। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পুলিশের সাথে মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর গুলি নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা শহরের ইনাতাবাদ এলাকার মৃত হরমুজ আলীর ছেলে বিএনপি নেতা এসএম আব্দুল আউয়াল বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় ৭৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মো. রুহুল আমিন এ মামলার ২৩ নং আসামি।

ঢাকা/মামুন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ত কর ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় দুজনের মৃত্যু, মদ পানের কারণেই কিনা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসক

বগুড়ায় অতিরিক্ত মদপানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার রাতে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন।

নিহতরা হলেন, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাজী পাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের পালক ছেলে আওরঙ্গজেব চিনতু (৩৫) ও ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল (৩০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হচ্ছেন, ঠনঠনিয়া বটতলার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে পিলু (৫৬) এবং একই এলাকার জয়দেব দাসের ছেলে সনি দাস (৩০)। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিলু জানান, গত ২৭ মার্চ বিকেলে শহর থেকে প্লাস্টিকের বোতলে মদ কিনে আনেন রাসেল। ওই দিন বিকেলেই চারজন একসঙ্গে মদ পান করেন। রাতেই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তির সময় তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে ভর্তি হন।

বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাইফুর শাহীন বলেন, পিলু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ডায়রিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা থাকায় তাকে মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত না। মদ পান করে অসুস্থ কি না তা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে।

চিনতুর পরিবারের একজন জানান, চিনতু ও রাসেল অনেক আগে থেকেই মদ পান করতেন। মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তাদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিনতু কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বিকেল ৫টার পর অসুস্থবোধ করলে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিনতু মারা যান। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার পর রাসেল মারা যান।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চিনতু ও রাসেল মারা যাওয়ার তথ্য আমাদের কাছে নেই। সম্ভবত তারা রাস্তাতেই মারা গিয়েছিলেন। আর সনি নামে একজন ভর্তি আছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে তার কি ধরনের সমস্যা রয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘অতিরিক্ত মদপানে’ দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারা যাওয়া দুজনের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে কোনও তথ্য দেননি। বিকেল ৩টার মধ্যে দুজনের মরদেহ পরিবারের পক্ষ থেকে দাফন করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, হাসপাতাল থেকে এই দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশকে অবহিত না করায় আপাতত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় দুজনের মৃত্যু, মদ পানের কারণে কিনা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসক
  • বগুড়ায় দুজনের মৃত্যু, মদ পানের কারণেই কিনা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসক