বাসচাপায় পিষ্ট মোটরসাইকেল চালক, ভাঙচুর-আগুন
Published: 27th, February 2025 GMT
রামপুরা হাজিপাড়ায় বাসচাপায় আলী হোসেন তালুকদার (৩৪) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ সময় রমজান পরিবহনের বাসটি ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাজিপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলী হোসেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিসাবরক্ষক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আবু হানিফ সোহান জানান, হাজিপাড়া পেট্রোল পাম্পের সামনের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। এ সময় রমজান পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে তার মাথা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলী হোসেন।
হানিফ আরো জানান, ওই বাসের কোনো লুকিং গ্লাস ছিল না। মোটরসাইকেল চালক বারবার হর্ন দেওয়া সত্বেও কানে শোনেনি বাসের চালক। আলী হোসেনকে অনেক আগে থেকেই ফুটপাতের দিকে চাপ দিচ্ছিলেন চালক। এতে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গেলে ওই বাসেরই চাকার নিচে পিষ্ট হন আলী হোসেন। ক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে ভাঙচুর চালিয়ে পরে আগুন ধরিয়ে দেন। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
নিহত আলী হোসেনের বড় ভাই মো.
বড় ভাই আলম আরো জানান, গত সাত-আট মাস আগে বিয়ের কাবিন হয় আলী হোসেনের। ৬ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে আলী হোসেন ছিলেন সবার ছোট।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘বিকেলে হাজিপাড়া এলাকায় রমজান পরিবহনের চাপায় ঘটনাস্থলে মারা যান ওই যুবক। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা বাসটি ভাঙচুর করে। বাসসহ চালককে আটক করা হয়েছে।’’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘‘মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রামপুরা থানা অবগত আছে।’’
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি ‘মুজিব বর্ষ ১০০’ পঞ্জিকার এখন অস্তিত্বই নেই
‘মুজিব বর্ষ ১০০’ নামে একটি বিশেষ পঞ্জিকা যৌথভাবে তৈরি করেছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় তহবিল। এতে ব্যয় করা হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো এই পঞ্জিকার প্রথম মাসের নাম ছিল ‘স্বাধীনতা’। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) ছিল এই মাসের প্রথম দিন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের মতো এটিরও গণনা করার কথা ছিল ৩৬৫ দিন ধরে। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ পঞ্জিকাটির উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে পঞ্জিকাটি শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
এই পঞ্জিকায় ১২টি মাস আছে। তবে কোনো অধিবর্ষ (ইংরেজি লিপইয়ার) নেই। ১২ মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল—স্বাধীনতা, শপথ, বেতারযুদ্ধ, যুদ্ধ, শোক, কৌশলযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, জেলহত্যা, বিজয়, ফিরে আসা, নবযাত্রা ও ভাষা। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন শ্রমসচিব কে এম আলী আজম পঞ্জিকাটির মোড়ক উন্মোচন করে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, পঞ্জিকায় বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ক্যালেন্ডারটি চূড়ান্ত করে এরপর সরকারি সব দপ্তরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো পঞ্জিকা