দুই দিন আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মাদক কারবারি শাহিন আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার থেকে তাঁকে ও তাঁর সহযোগী দিন ইসলামকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‍্যাব–২–এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গত মঙ্গলবার শাহিন আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে শাহিনকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁর সহযোগীরা। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় শাহিন আলম ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

আজ র‍্যাব-২–এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে তেজগাঁও থানার একদল টহল পুলিশ কারওয়ান বাজার এলাকায় টহলে যায়। এ সময় শাহিন আলম (২৭) মাদক বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ পুলিশ দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। এ সময় তাঁর চিৎকারে অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি ও ছুরি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে শাহিনকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের কাছ থেকে মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়। ওই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র‌্যাব–২ আজ দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে তাঁকে ও তাঁর সহযোগী দিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিন জানিয়েছেন, তিনি মাদক কারবারি। তাঁর নেতৃত্বে কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদকের কারবার, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।

র‍্যাব জানায়, শাহিনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মাদক ও দস্যুতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক রওয় ন ব জ র গ র প ত র কর র সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনার মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন ২৭ বিশিষ্ট নারী

মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দিয়েছেন আইনজীবী, অধিকারকর্মী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার ২৭ জন বিশিষ্ট নারী। আজ রোববার স্মারকলিপিটি ই-মেইলে পাঠানো হয়।

স্মারকলিপিতে মেঘনাকে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাতে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন উল্লেখ করে তাঁর মুক্তি দাবি করা হয়েছে। বলা হয়, ‘মেঘনা আলমকে গত ৯ এপ্রিল পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও ভাটারা থানার কর্মকর্তারা তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন ও আদালতের নির্দেশ অবমাননা করে আটক করেন।’

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে তাঁর বাসা থেকে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়। সে সময় মেঘনা আলমের ফেসবুক লাইভ থেকে বিষয়টি জেনে কয়েকজন নারী অধিকারকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা মেঘনা আলমকে আটকের জন্য এসেছেন। আটকের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তাঁকে আদালতে তোলা হয়। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে।

আরও পড়ুনশুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল, আদালতে মডেল মেঘনা১৭ এপ্রিল ২০২৫

এ ঘটনায় সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেন এই নারীরা। স্মারকলিপিতে তাঁরা বলেন, এই ঘটনায় গুরুতর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তাঁরা মেঘনা আলমের মুক্তি এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেছেন।

স্মারকলিপিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী ও অধিকারকর্মী ইশরাত জাহান, তাবাসসুম মেহেনাজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মীর্জা তাসলিমা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসরিন সিরাজ, সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, আলোকচিত্রী পদ্মিনী চাকমা, লেখক ও গবেষক পারসা সানজানা প্রমুখ।

আরও পড়ুনএবার চাঁদাবাজি–প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো১৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেঘনার মুক্তি চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ২৭ বিশিষ্ট নারীর
  • মেঘনার মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন ২৭ বিশিষ্ট নারী
  • কটিয়াদী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে