সুনাম হানি করতে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন শুকুর সালেক
Published: 27th, February 2025 GMT
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মুজিবুর রহমান মজু বলেছেন, আমার সুনাম হানি ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেক।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মুজিবুর রহমান বলেন, শুকুর সালেক আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। আমি নাকি তার কাছে চাঁদা চেয়েছি, না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি অভিযোগ। যতদূর জানতে পেরেছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক নিহতের পরিবার আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে শুকুরকেও আসামি করে মামলা করেছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট ও আর্থিক সুবিধা নিয়ে শুকুর সালেক মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলেছেন।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, শুকুর পতিত স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে এরশাদ সরকারের আমলে জাতীয় পার্টি দালালি করেছে। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ এবং তাদের নেতাদের সঙ্গে ঢাকাবাসী সংগঠনটির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ধান্দাবাজির সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে। আর ঢাকাবাসী তার পারিবারিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত। তার বউ, শালা-শালি আত্মীয়-স্বজন নিয়েই ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নাম ঢাকাবাসী ব্যবহার করছে। এই সংগঠন আদি ঢাকাইয়াদের কোনো প্রতিনিধিত্বও করে না। শুকুর পতিত স্বৈরাচার এরশাদের আমলেও মন্ত্রী-এমপি নেতাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি করে তাদের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান এনে তা আত্মসেবায় নিয়োজিত করেছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য হটলাইন চালুর ঘোষণা পুলিশের
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জরুরি যোগাযোগের জন্য হটলাইন সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। হটলাইন নম্বরে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপত্তাজনিত যেকোনো সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো এবং দ্রুত সহায়তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
সম্প্রতি গাজায় হামলা নিয়ে বিক্ষোভের সময় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজিপি ও বিডা চেয়ারম্যান। বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল– নেসলে বাংলাদেশ, কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, বাটা সু কোম্পানি বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, পেপসিকো ও জুবিল্যান্ট ফুড ওয়ার্কস বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭ ও ৮ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন শহরে এসব কোম্পানির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রায় এক ডজন মামলা হয়েছে।
বৈঠকে বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আইজিপি, জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও বিডার কর্মকর্তাদের একসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসা শুধু সময়োপযোগী নয়, নজিরবিহীন। এটি কেবল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়। এটি এক ধরনের বার্তা যে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের পাশে আছে, বিশেষ করে যখন চ্যালেঞ্জ আসে।’
তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো হাজার হাজার কর্মজীবী ও তাদের পরিবারের জীবিকার উৎস। প্রতিবাদের অধিকার আছে, কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মসংস্থান, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোনো সমাধান নয়। পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন বিডা চেয়ারম্যান।
প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি ও কার্যক্রমে বিঘ্ন নিয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আইজিপি বাহারুল আলম বিনিয়োগকারীদের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এখানে আসিনি, বরং আস্থা গড়ে তুলতে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এসেছি।’
এ আলোচনার ফলে বিডা, পুলিশ ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে একটি প্রতিরোধ পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন নিরাপত্তা প্রটোকল, দ্রুত সাড়া দেওয়া ইউনিট এবং সংকটকালে উন্নত যোগাযোগ চ্যানেল।