ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মুজিবুর রহমান মজু বলেছেন, আমার সুনাম হানি ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেক।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। 

মুজিবুর রহমান বলেন, শুকুর সালেক আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। আমি নাকি তার কাছে চাঁদা চেয়েছি, না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি অভিযোগ। যতদূর জানতে পেরেছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক নিহতের পরিবার আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে শুকুরকেও আসামি করে মামলা করেছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট ও আর্থিক সুবিধা নিয়ে শুকুর সালেক মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলেছেন।

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, শুকুর পতিত স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে এরশাদ সরকারের আমলে জাতীয় পার্টি দালালি করেছে। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ এবং তাদের নেতাদের সঙ্গে ঢাকাবাসী সংগঠনটির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ধান্দাবাজির সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে। আর ঢাকাবাসী তার পারিবারিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত। তার বউ, শালা-শালি আত্মীয়-স্বজন নিয়েই ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নাম ঢাকাবাসী ব্যবহার করছে। এই সংগঠন আদি ঢাকাইয়াদের কোনো প্রতিনিধিত্বও করে না। শুকুর পতিত স্বৈরাচার এরশাদের আমলেও মন্ত্রী-এমপি নেতাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি করে তাদের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান এনে তা আত্মসেবায় নিয়োজিত করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চরবলাকীতে পাঁচ হত্যার আসামিদের বিচার দাবি

গজারিয়া উপজেলার চরবলাকী গ্রামে আলোচিত পাঁচ হত্যার আসামিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তাদের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ প্রেস  ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে গজারিয়ার চরবলাকী এলাকায় তিনজনকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। আরও দু’জনকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় নাজমুল, আরিফ, সুমনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মামলার পর স্বজনরা ৯ বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। 
তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে আসামিরা দলীয় পদে ও নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে মামলার বিষয়ে সবার মুখ বন্ধ করে রেখেছিল। বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর হত্যা মামলার আসামিদের বিচার দাবি করছেন তারা। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
মামলার আসামিরা স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে জানিয়ে তারা বলেন, এ ঘটনায় গত বুধবার গজারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ন্যায়বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নিহত ব্যক্তিদের স্বজন। আসামিদের বিচারের পাশাপাশি পরিবারগুলোর নিরাপত্তার দাবি জানান তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ