স্বামীর নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
Published: 27th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. নাজমুল ইসলাম গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা র্যাব-১১ এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সিও) এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সিও) এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, অত্র মামলার ভিকটিম আসামিদের বাড়িতে ভাড়া থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি চাকুরি করতো। ভিকটিম আসামির বাড়িতে থাকা অবস্থায় মো.
এসময় আসামিরা ভিকটিমের স্বামীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে তার ভিডিও তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরবর্তীতে একই তারিখ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্রেফতার ১নং আসামি ও ২নং আসামিদ্বয় ভিকটিমের ভাড়াটিয়া বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে আসামির মোবাইলে থাকা ভিকটিমের স্বামীকে হত্যাচেষ্টার ভিডিও ভিকটিমকে দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু প্রকাশ করলে আসামিরা তার স্বামীকে খুন করবে বলে হুমকি প্রদান করেন।
পরবর্তীতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সংঘর্ষ ও খুনের পর মিরসরাই বিএনপির তিন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত
সংঘর্ষ ও খুনের পর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত তিনটি কমিটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারিয়ারহাট পৌরসভার তিনটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত বিএনপির কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশেষ একটি পক্ষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এলাকায় জনগণকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একজন নিরীহ মানুষ হত্যার শিকার হন এবং ১৫ জন গুরুতরভাবে জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মিরসরাইয়ের জনগণের পাশে থাকার লক্ষ্যে অনুমোদিত তিন কমিটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হলো।
কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, কমিটির বিষয়ে পরবর্তী করণীয় বসে ঠিক করা হবে। কমিটি গঠনের পর হত্যাসহ নানা নৈরাজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ মার্চ মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৪ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারিয়ারহাট বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন ঘোষিত বিএনপির উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতে আবদুল আওয়াল চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও আজিজুর রহমান চৌধুরীকে সদস্যসচিব মনোনীত করা হয়। ঘোষিত এই কমিটির বিরোধিতা করে ২৫ মার্চ দুপুরে মিরসরাই উপজেলা সদরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে ঝাড়ুমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারীরা। সেই ঝাড়ুমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিএনপির দুই পক্ষের এমন উত্তেজনা শুরু হলে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ফুল দিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কায় ২৬ মার্চ সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য মিরসরাই উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। সেদিন বেলা ১১টায় মিছিল গণজমায়েত করে প্রশাসনের দেওয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহীদ মিনারে এসে ফুল দিয়ে যান মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের অনুসারীরা। এরপর উপজেলার বারিয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মইনুদ্দিন লিটনের বাড়ির সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মোহাম্মদ জাবেদ নামের এক যুবক নিহত হন। সংঘর্ষের সেই ঘটনায় বিএনপির আরও অন্তত ১৩ নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন।