টুঙ্গিপাড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ
Published: 27th, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্যার ভাই শাহ কারিম মোল্যার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খালেক বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যাক্তিকে মারধরে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্যা বিষয়টি স্বীকার করলেও অভিযুক্ত তার ভাই শাহ কারিম মোল্যার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানাগেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ ১৯ বছর পর গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশে স্বাগত জানিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খালেক বাজার এলাকার গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া অঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার মানসিক ভাসাম্যহীন এক ব্যক্তি ওই ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহ কারিম মোল্যা ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে মারধর করেন। ওই মানসিক ভাসাম্যহীন ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহ কারিম মোল্যার বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার ভাই টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোক্তার হোসেন মোল্যা বলেন, “সমাবেশে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়। কিন্তু এতদিন কেউ না ছিঁড়লেও ওই ব্যক্তি আজকে ছিঁড়ে ফেলে। এসময় তাকে মানা করলে সে তা না শোনায় আমার ভাই শাহ কারিম মোল্যা তাকে মারধর করেছে। আমার মনে হয় তাকে উস্কে দিয়ে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপ্টন বলেন, “এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।”
ঢাকা/বাদল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।