রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, ভোটগ্রহণ জুনে
Published: 27th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ জুন মাসের তৃতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে রাকসু বিধিমালার খসড়া সংশোধনী সম্পর্কে পরামর্শ ও মতামত প্রদান করবেন। আগামী ১৩ এপ্রিল রাকসু বিধিমালা ও নির্বাচনের আচরণবিধি চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশ করা হবে।
আরো পড়ুন:
রাবিতে অর্ধশত অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
রাবিতে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দাবি
এরপর ধারাবাহিকভাবে ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৩০ এপ্রিল ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ, এরপর ১৩ মে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ১৫ মে মনোনয়নপত্র বিতরণ এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ মে।
এছাড়া ২০ মে মনোনয়নপত্র নিরীক্ষা ও বাছাই, ২২ মে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে এবং প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের ২৭ মে নির্ধারণ করা হয়েছে। সবশেষে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ জুন মাসের তৃতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রাকসু বিধিমালার খসড়া অনলাইনে প্রকাশের তারিখ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তীতে জানানো হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিতব্য কমিশন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।
নির্বাচনের ভোটগ্রহণের নির্দিষ্ট তারিখ জানতে চাইলে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ড.
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি: কেসিসির পরিকল্পনা কর্মকর্তা
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কর্মকর্তার (প্ল্যানিং অফিসার) কোনো কাজ নেই বলে মন্তব্য করেন কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির-উল-জব্বার। তিনি বলেন, যে প্রকল্প আসে, তা বাস্তবায়ন হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। এর ৩১ ওয়ার্ডের কোনোটিতেই কোনো পরিকল্পনা নেই।
আজ মঙ্গলবার নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আবির-উল-জব্বার। এতে একটি প্রকল্পের পরিচিতি সভার আয়োজন করে ‘সিরাক-বাংলাদেশ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।
অনুষ্ঠানটির মুক্ত আলোচনাপর্বে আবির-উল-জব্বার বলেন, ‘যা এত দিন বলতে পারিনি, তা আজ বলছি। আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি। আমি যখন একটা প্রস্তাব দিই, তখন আমার ওপরের অথরিটি সেটি মাথায় নেয় না। এ কারণে আমার এক পার্সেন্টও প্ল্যান বাস্তবায়ন হয় না। সারা বাংলাদেশে একই সিস্টেম। প্ল্যানাররা সব সময়ই অবহেলিত।’
আক্ষেপের সুরে কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশে আগে প্ল্যানাররা প্ল্যান করেন, পরে আর্কিটেক্টরা ডিজাইন করেন। এরপরই কাজ করেন ইঞ্জিনিয়াররা। দিস ইজ দ্য সিস্টেম, সারা ওয়ার্ল্ডে। কিন্তু আমাদের দেশে হয় উল্টো। আগে ইঞ্জিনিয়াররা প্রোজেক্ট পাস করায় দেবেন, এরপর আমাকে বলবে, “এই টাকা এসেছে, এখন ডিজাইন করো।” এরপর আর্কিটেক্ট একটা ডিজাইন করেন, সেখানে আমার একটা মতামত দিতে হয়। ব্যস, উল্টোভাবে চলছে সারা বাংলাদেশ।’
যে প্রকল্পে রাজনৈতিক তদবির ভালো, সেটি দ্রুত পাস হয় জানিয়ে আবির-উল-জব্বার বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় একই শহরে একই রাস্তা বারবার খোঁড়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লস্কর তাজুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিতান কুমার মণ্ডল, কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত।