জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সমন্বয়ক রিফাত রশীদ। পাশাপাশি সিনিয়র সংগঠক পদে এসেছেন ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈম আবেদীন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহবায়ক আবু বাকের মজুমদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ২০৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পরে দেশব্যাপী সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা হবে বলেও সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ থেকে পদত্যাগ, কারণ জানালেন রিফাত

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা 

এর আগে, বুধবার সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজধানীর উত্তরা কমিটির সদস্য ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী হাতাহাতি ও মারধরে জড়ান। তাদের একদল রিফাত রশীদকে সংগঠনের শীর্ষ পদে পদায়নের দাবি জানান। একইসাথে তারা কমিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ার অভিযোগ করেন।

হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে এই সংগঠন।

কমিটির মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মোদ্দাসসীর চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাঈম আবেদীন।

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম নগরে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে একদল যুবকের দৌড়াদৌড়ি

চট্টগ্রাম নগরে জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে একদল যুবকের দৌড়াদৌড়ির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ঘটনাস্থলের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরায় ধারণ করা। ভিডিওতে দেখা গেছে, সাত থেকে আটজন যুবক দৌড়াদৌড়ি করছেন। এর মধ্যে পিস্তল হাতে ছিলেন দুজন এবং একজনের হাতে রয়েছে শটগান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র যুবকদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। তাঁরা হলেন স্থানীয় মো. দেলু, মো. জহির, টিপু তালুকদার, মো. উজ্জ্বল, হাসান সাগর ও মো. করিম। এর মধ্যে হাসান সাগর ও টিপু তালুকদারের হাতে পিস্তল এবং শটগান হাতে মো. করিম দৌড়াচ্ছেন। তাঁরা সবাই ‘সন্ত্রাসী’ সাইফুল আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে সাইফুলকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁর ভাই সবুজ বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সব ষড়যন্ত্র।

ঘটনার ভুক্তভোগী মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার একটি জায়গা ইলিয়াস নামের একজন এত দিন দখল করে রেখেছিলেন। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে আড়াই লাখ দেওয়ার পর এখন আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করছেন। সরকার পতনের পর ইলিয়াস সরে গেলেও “সন্ত্রাসী” সাইফুল আলমের অনুসারীরা তা দখল করতে আসেন। ওই সময় তাঁদের প্রতিরোধ করতে আসেন ইলিয়াসের লোকজন।’

মনির হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এর আগে সন্ত্রাসীরা চলে যান। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছি।’

জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও কাউকে পায়নি। ঘটনায় জড়িত ব৵ক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম নগরে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে একদল যুবকের দৌড়াদৌড়ি