ভোজ্যতেল নিয়ে যারা দুষ্টামি করে বা ভোক্তাস্বার্থবিরোধী কাজ করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের একটি অংশ এখনো সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ভোজ্যতেল নিয়ে যারা দুষ্টামি করে বা ভোক্তার স্বার্থবিরোধী কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলীম আখতার খান বলেন, ভোজ্যতেলের সরবরাহে কিছু ব্যবসায়ী অসহযোগিতা করছে, যা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে পারে। এই সংকটের কারণ খুঁজতে বন্দর থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী তিনটি কোম্পানিকে এরই মধ্যে শোকজ করা হয়েছে। তারা লিখিত জবাবও জমা দিয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, গতকাল অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরের কাওরানবাজারে ভোজ্যতেলের উপর তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারকিতে প্রাপ্ত তথ্যউপাত্ত দিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অধিদপ্তর। 

এতে বলা হয়, অধিদপ্তরের তদারকি দল দেখতে পেয়েছে, কিছু দোকানে দৃশ্যমান স্থানে ভোজ্যতেল প্রদর্শন করা হচ্ছে না। তেল নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাকে। কিন্তু তল্লাশিতে দোকানের গোপনীয় স্থানে বিপুল পরিমাণে ভোজ্যতেলের ৫ লিটারের বোতল মজুদ পাওয়া গেছে। এছাড়া ২০২৩ সালে উৎপাদিত তেল, যা গত বছরের মে থেকে অক্টোবরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে- এমন ৫ লিটারের ৬ কার্টন সয়াবিন জব্দ করা হয়।

অধিদপ্তর বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে উৎপাদিত ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল যার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বা এমআরপি ৮১৮ টাকা। কিন্তু তদারকিতে দেখা গেছে, কিছু ব্যবসায়ী তা বিক্রি করছেন ৮৫০ থেকে ৮৫২ টাকায়। তাছাড়া কিছু ব্যবসায়ী তেল লুকিয়ে রেখে গোপনে বেশি দরে বিক্রি করছেন।

এসব অপরাধে কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের সাতটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে রামগঞ্জ জেনারেল স্টোরকে ৫ হাজার, রতন স্টোরকে ১০ হাজার, নূর স্টোরকে ৫ হাজার, আল আরাবিয়া গ্রোসারি অ্যান্ড চাইনিজকে ৫ হাজার, মায়ের দোয়া স্টোরকে ২০ হাজার, তুহিন জেনারেল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা এবং হাজী মিজান এন্টারপ্রাইজকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া শান্তিনগর বাজারে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর বলছে, বাজারে তেলের সংকট নেই। কিছু পাইকারি ও খুচরা অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় তেল লুকিয়ে রাখার কারণে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখানো হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ জ যত ল ভ জ যত ল ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের সকালে রোগী, নার্স ও ট্রাফিক পুলিশের  সঙ্গে টিম খোরশেদ’র শুভেচ্ছা বিনিময় 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন সকালে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ঈদের দিন ভর্তি থাকা রোগী,নার্স ও পরিবার পরিজনের বন্ধন ছেড়ে নাগরিক সেবায় নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে পুষ্টিকর প্রাত:রাস (নাস্তা-দুধ, জুস, বিস্কুট ও কেকের বক্স) বিতরণ করে মানবিক সংগঠন টিম খোরশেদ। 

ঈদের নামাজ শেষে টিম খোরশেদ এর স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ প্রথমে হাসপাতালের রোগী ও নার্স ও পরে রাস্তায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে নাস্তা বিতরণ করে।

টিম খোরশেদ এর দলনেতা সাবেক সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, আমরা আসলে দূর্গত মানুষ ও নাগরিক সেবায় নিয়োজিতদের ঈদের আনন্দে অংশ নিয়ে হাসি ফুটানোর জন্যই আমাদের সকল কার্যক্রম।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ