এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং আইসিসি বাংলাদেশের (আইসিসিবি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে আইসিসি বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যকার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

ঢাকার গুলশানে আইসিসি বাংলাদেশের কার্যালয়ে সম্প্রতি এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ংকে স্বাগত জানান আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সহসভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ, সহসভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, নির্বাহী বোর্ডের সদস্য-সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলসের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, ইভিন্স গ্রুপের এমডি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, প্লামি ফ্যাশনসের এমডি মো.

ফজলুল হক, মীর আক্তার হোসেনের এমডি মীর নাসির হোসেন, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, এমবি নিট ফ্যাশনের এমডি মোহাম্মদ হাতেম এবং ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিবিএল গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ আবদুল জব্বার, আইসিসি বাংলাদেশের মহাসচিব আতাউর রহমান, এডিবির সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট অফিসার বিদ্যুৎ কুমার সাহা প্রমুখ।

সভায় আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, এডিবি বহু বছর ধরে আইসিসি বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করে আসছে। ২০০০ সালে এডিবির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট তাদাও চিনো ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘আইসিসি এশিয়া কনফারেন্স অন ইনভেস্টমেন্ট ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ’-এ অংশ নিয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সাল থেকে এডিবি ও আইসিসি বাংলাদেশ যৌথভাবে ট্রেড ও সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন কর্মশালা ও সম্মেলন আয়োজন করে আসছে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এডিবির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশন, আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি ও টেকসই ব্যবসায়িক চর্চার ক্ষেত্রে আইসিসি বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রহম ন র এমড আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

সভাপতিসহ ৯ পদে আ.লীগ ও ৫টিতে বিএনপিপন্থিদের জয়

কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০২৫-২০২৬) ১৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ৯টিতে ও বিএনপি ৫টিতে জয়লাভ করেছে। এছাড়া জামায়াত ২টিতে ও জাতীয় পার্টি ১টিতে জয় পেয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুনুর রশিদ পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিএনপির এস এম শাতিল মাহমুদ।

গতকাল বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান কে এম আব্দুর রউফ। কমিশনে সদস্য ছিলেন মোস্তফা সামসুজ্জামান ও আল মুজাহিদ হোসেন।

এর আগে নির্বাচন ঘিরে আদালত চত্বরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক আদালত চত্বরে নির্বাচনী পাঁচটি ক্যাম্পে হামলায়। এ সময় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী তার মোবাইল ফোন হামলার ঘটনা ভিডিও করায় তার মাথায় আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে আদালতপাড়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আইনজীবীরা মনে করছেন, এই ঘটনার কারণে বিএনপিপন্থি প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এবার ১৭টি পদের বিপরীতে ৪৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির ৪৬০ ভোটারের মধ্যে ৪৩০ জন ভোট দেন।  

সভাপতি পদে হারুনুর রশিদ ১৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে আইনজীবী এস এম শাতিল মাহমুদ ১৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত ফারুক আজম মৃধা, সহসভাপতি পদে বিএনপি সমর্থিত মাহমুদুল হক চঞ্চল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাজমুন নাহার, কোষাধ্যক্ষ পদে বিএনপি সমর্থিত আবুল হাশিম, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সুলতানা বেগম মমো, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মকলেচুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে জামায়াত সমর্থিত ওয়ালীউল বারী, সিনিয়র সদস্য পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মারুফ বিল্লাহ ও আশুতোষ কুমার পাল, বিএনপি সমর্থিত আয়েশা সিদ্দিকা ও হাফিজুর রহমান। জুনিয়র সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুহাইমিনুর রহমান পলল, সাইফুর রহমান সুমন ও সাইফুল ইসলাম এবং জামায়াত সমর্থিত রবিউল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সভাপতিসহ ৯ পদে আ.লীগ ও ৫টিতে বিএনপিপন্থিদের জয়