বরবাদের টিজারে ধুন্ধুমার অ্যাকশন: মন কেড়েছে শাকিব ভক্তদের
Published: 27th, February 2025 GMT
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ সিনেমার টিজার। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টায় মুক্তি পায় এটি। টিজারটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ঢালিউড কিং শাকিব খান।
মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’ সিনেমার টিজারের দৈর্ঘ্য ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড। টিজারের শুরুতে সারি সারি অস্ত্রের প্রদর্শন করেছেন নির্মাতা। তারপর দেখা মেলে ক্ষুব্ধ মিশা সওদাগরের। এরপর মাদকাসক্ত শাকিব খানের উপস্থিতি। পরের দৃশ্যে ধর্ষণের শিকার এক নারীর গগনবিদারী চিৎকারে কেঁপে উঠে পর্দা।
টিজার এগিয়ে যায়, রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে। প্রতিবাদেমুখর সাধারণ জনগণ। উত্তাল রাজপথ। শুরু হয় শাকিব খানের ধুন্ধুমার অ্যাকশন। সামনে আসেন ক্ষোভের আগুনে পোড়া শাকিব। প্রতিপক্ষের রক্ত নিয়ে হলি খেলায় মেতে উঠেন এই নায়ক। শাকিবের এ রূপ খানিকের জন্য বদলে যায়, যখন ইধিকা পাল হাজির হন। ঘনীভূত হয় এ জুটির প্রেম। আবার সারি সারি লাশ। লাশের পাশ থেকে উঠে দাঁড়ান ঠান্ডা মস্তিষ্কের যীশু সেনগুপ্ত। পুরো টিজারে শাকিবের লুক, অভিব্যক্তি ও রোমান্স মনে ধরেছে তার ভক্ত অনুরাগীদের।
আরো পড়ুন:
আপনি অনেক সুন্দর, শাকিব খানকে প্রভা
আহত সাইফ আলী খানকে দেখতে মুম্বাইয়ে শাকিব?
মন্তব্যের ঘরে একজন লেখেন, “বিশ্বাস হচ্ছে না, বাংলা সিনেমার টিজার দেখছি। লাভ ইউ বস।” আরেকজন লেখেন, “আমাদের সুপারস্টার। বরবাদের টিজার দেখে বিস্মিত।” অন্য একজন লেখেন, “বরবাদ আমার হৃদয় কেড়ে নিয়েছে।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
‘বরবাদ’ সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং মুম্বাইতে হয়েছে। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— যীশু সেনগুপ্ত, মানব সচদেব, শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ। এ ছাড়া সিনেমাটির একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান। আগামী ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বরব দ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি আওয়াজ দিয়ে মরতে চাই’
গাজায় বসবাসকারী একজন তরুণ আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে ফাতিমা হাসোনা জানতে, মৃত্যু সবসময় তার দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। যুদ্ধের গত ১৮ মাস ধরে তিনি বিমান হামলা, তার বাড়ি ধ্বংস, অবিরাম বাস্তুচ্যুতি এবং পরিবারের ১১ জন সদস্যের হত্যার কথাগুলো লিখেছেন। কিন্তু স্বজন, বাড়িঘর হারানোর পরেও তিনি চুপ হয়ে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি এই সাংবাদিক।
ফাতিমা তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, “যদি মরন আসেই তাহলে আমি উঁচু আওয়াজ দিয়ে মরতে চাই। আমি কেবল ব্রেকিং নিউজ বা কোনো দলের সংখ্যা হতে চাই না, আমি এমন একটি মৃত্যু চাই যা বিশ্ব শুনবে, এমন একটি প্রভাব যা সময়ের সাথে সাথে থাকবে এবং একটি চিরন্তন চিত্র যা সময় বা স্থান দিয়ে চাপা দেওয়া যাবে না।”
আর কয়েক দিন পরেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল ২৫ বছর বয়সী ফাতিমার। বুধবার উত্তর গাজায় তার বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন ফাতিমা। তার পরিবারের দশজন সদস্য নিহত হয়েছেন এই হামলায়। নিহতদের মধ্যে মধ্যে তার গর্ভবতী বোনও ছিলেন।
ফাতিমাকে হত্যার চব্বিশ ঘন্টা আগে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় তারর জীবনকে কেন্দ্র করে একটি তথ্যচিত্র ফরাসি স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রকাশ করা হবে।
ইরানি পরিচালক সেপিদেহ ফারসি নির্মিত ‘পুট ইওর সোল অন ইওর হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’ ছবিটিতে ফাতিমা ও ফারসির মধ্যে ভিডিও কথোপকথনের মাধ্যমে গাজার অগ্নিপরীক্ষা এবং ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন জীবনের গল্প বলা হয়েছে।
ফাতিমা সেই তথ্যচিত্রে বলেছিলেন, “গাজা আমার চোখ... জ্বলন্ত ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। আমি তার হাসি, তার কান্না, তার আশা এবং তার বিষণ্ণতার ছবি তুলেছিলাম।”
ফাতিমা সম্পর্কে ফারসি বলেন, “তিনি অনেক আলোকজ্জল, অনেক প্রতিভাবান ছিলেন। ছবিটি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন। কয়েক ঘন্টা আগে আমি তার সাথে কথা বলেছিলাম যে ছবিটি কানে আসছে এবং তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।”
ফ্রান্সে নির্বাসিত জীবনযাপনকারী ফারসি বলেন, ফাতিমাকে একজন ফটোসাংবাদিক হিসেবে তার বহুল প্রচারিত কাজের জন্য এবং সম্প্রতি তথ্যচিত্রে অংশগ্রহণের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতময় স্থান। ২০২৩ সাল থেকে ১৭০ জনেরও বেশি সাংবাদিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ