সোনারগাঁয় ছিনতাইয়ের পর নারীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
Published: 27th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে ছিনতাইয়ের পর এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৌর এলাকার দৈলেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই নারী বাদি হয়ে ৮ জনকে আসামি করে বুধবার রাতে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মো. সজিবকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সজিব হাবিবপুর গ্রামের মৃত সবুজ মিয়ার ছেলে। তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গণ ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা এজহার থেকে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৪০ বছর বয়সী ভূক্তভোগী নারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার দেবর কামাল হোসেনকে নিয়ে মদনপুর এলাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বোনকে দেখতে যান।
পরে তার দেবর ও ওই নারী রাতে সিএনজি যোগে কৃষ্ণপুরা এলাকায় তার খালাতো ভাই ইমনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিলারবাগ এলাকায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী সজিবের নেতৃত্বে মো.
এক পর্যায়ে তাদের দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে দৈলেরবাগ এলাকার লাল মিয়ার পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়িতে নিয়ে যায়। তাদের মারধর করে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও নারীর স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা অন্য একটি কক্ষে আটকে রেখে ভূক্তভোগী ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুয়েত প্রবাসীর গাড়িতে ছিনতাইকালে সজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সজিবের গ্রেপ্তারের খবরে ওই নারী থানায় এসে হাজতে তাকে দেখতে পেয়ে চিনতে পারে। এ ঘটনায় নারী বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় রাতে সজিবকে প্রধান আসামী করে ৮জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, গণ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ওই ন র ঘটন য় এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন
নারায়ণগঞ্জের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে । সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়, জামাতে ইমামতি করেন দেওভোগ জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু তাহের জিহাদী। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়, ইমামতি করেন আমলাপাড়ার জামিয়া আশাফিয়া রহমতুল্লাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল কাদির।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি এবং মানুষের সুস্থতা কামনাসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের শান্তি কামনায়, ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধের প্রার্থনায় দোয়া করা হয়। এছাড়াও জেলার প্রায় ২৫টি ঈদগাহ ময়দান ও প্রায় চার হাজার মসজিদে প্রায় আট হাজার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত প্রধান জামাতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, ঈদ মানবতার মিলনমেলা। এটি আত্মপরিশুদ্ধির একটি মাধ্যম। আসুন আমরা সকল লোভ লালসা ভুলে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধন তৈরি করতে সচেষ্ট হই।
তিনি বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আমরা একত্রিত হয়েছি ঈদ উল ফিতরের নামাজের জন্য। আজ ধনী গরীব সব আমরা এক কাতারে। ভেদাভেদ ভুলে আজ আমরা সকলে বুকে বুক মেলাবো আনন্দ ভাগাভাগি করবো। এটিই ইসলাম, এটিই উৎসবের সৌন্দর্য।
মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আরও বলেন, আমাদের সব রাগ, অহংকার দূর করে একটি আনন্দের মিলনমেলা আমরা তৈরি করতে সক্ষম হবো। আমি আজকের এ দিনে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ, প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, সাংবাদিকসহ সবাইকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা ঈদের স্পিরিট ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো।