ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সদস্যদের মর্যাদা-সুবিধা নির্ধারণ
Published: 27th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সদস্যদের মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সদস্যরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনের কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.
অন্য প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এ কমিশনকে স্বাভাবিক সহায়তা দেবে।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মতপার্থক্য থাকবে, ঐক্যের জায়গা চিহ্নিত করতে হবে: আলী রিয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাজে মতপার্থক্য থাকবে, ভিন্নমত থাকবে। কিন্তু সহিষ্ণুতা থাকতে হবে। ঐক্যের জায়গাটা চিহ্নিত করতে হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক বাংলাদেশ’-এর সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ খান রচিত ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের প্রকাশনায় আলী রিয়াজ বলেন, সবার মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে যাতে এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এজন্য এমন একটা রাজনৈতিক ঐকমত্যের কাঠামোতে আসতে হবে, রাষ্ট্র তার নাগরিকের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে। ফলে নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত হবে, তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। রাষ্ট্র জবাবদিহির মধ্যে চলবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন কথা বলতে পারে, কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে পার্থক্য থাকবেই। দেখতে হবে ঐক্যের জায়গাটা কোথায়। ঐক্যের জায়গাটা চিহ্নিত করতে হবে। সেই সনদ তৈরি করতে হবে যা আসলে সামাজিক চুক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যেটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য দিকনির্দেশনা দেবে। এটিই হবে বাংলাদেশের সনদ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় নিরাপত্তা, ভোটের অধিকার এবং সরকার যেন তাকে না জানিয়ে যা খুশি তা করতে না পারে। মতপার্থক্যকে শত্রুভাবাপন্ন ভাবলে হবে না।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আজকেও যারা গৃহযুদ্ধের ভয় দেখাচ্ছে, সেটি আমার কাছে অমূলক মনে হয়। গৃহযুদ্ধ হতে হলে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত একটা দেশ লাগে।’
প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন আহমদ পাবলিশিং হাউসের প্রকাশক মেছবাহ উদ্দিন আহমদ। চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের কো-চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।